নতুন বছরের শুরুতেই মিলবে মারণ ভাইরাস থেকে নিষ্কৃতী। সেই আশাতেই এখন বুক বাঁধছে বাংলাদেশের আমজনতা। আশায় সেই দেশের সরকারও। আগামী বছরের জানুয়ারির যেকোনো সময় যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানিয়েছেন, ৩ কোটি ডোজ টিকার মধ্য থেকে জানুয়ারিতে প্রথম ধাপে আসবে ৫০ লাখ ডোজ। এরপর প্রতি ধাপে ৫০ লাখ করে টিকা আসবে।
করোনার টিকা নিয়ে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের বেক্সিমকো ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মধ্যে রবিববার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় গাইডলাইন প্রকাশ করতে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করা যাবে। তিন কোটি ডোজ টিকা ছয় মাসে দেশে আসবে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ টিকা দুই ডোজ করে ২৫ লাখ মানুষ পাবে।
সিরাম ইনস্টিটিউটের থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ৩ কোটি ডোজ কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। এই চুক্তির অধীনে জানুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তী ছয় মাসে ৫০ লাখ করে মোট ৩ কোটি ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ। আগামী ১৫ জানুয়ারির পর বাংলাদেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৯৯ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৯২ হাজার ছাড়িয়েছে। ওপার বাংলায় মোট মৃতের সংখ্যা ৭ হাজার পার করে গিয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে ২ হাজার ৯৪৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা ৪ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা বাংলাদেশে এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ কোভিড ১৯ রোগে দেশে প্রথম মৃত্যু হয়। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযআয়ী বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৬তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৭ কোটি ২৭ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৬ লাখ ২১ হাজার।