পরীমণি ও শরিফুল রাজের দাম্পত্য জীবনের চর্চা যেন কিছুতেই থামছে না। মাঝে শোনা গিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে নাকি সবকিছুই ঠিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আদপে তা নয়। শোনা যাচ্ছে, রাজকে ডিভোর্সের চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের নায়িকা। যদিও এই বিষয়ে শরিফুল বা পরীমণি কেউই মুখ খোলননি। তবে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন পরীর আইনজীবী মহম্মদ শাহীনুজ্জামান। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নায়িকার আইনজীবী জানিয়েছেন, রাজের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁকে ডিভোর্সের চিঠি দিয়েছেন নায়িকা।
পরীমণির আইনজীবী ওই সংবাদপত্রকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে নারীর আসক্তি রয়েছে রাজের। এছাড়াও একে-অপরের সঙ্গে মতের অমিল, বনিবনা না হওয়া, ছেলের খোঁজ না নেওয়া, এই ধরনের একাধিক অভিযোগ পরীমণি এনেছেন রাজের বিরুদ্ধে। নায়িকা কিছুদিন ধরেই মানসিক অশান্তিতে রয়েছেন। সবমিলিয়ে রাজের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান পরী। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করেছেন শরিফুল রাজকে নিয়ে। সেখানে পরী জানিয়েছেন যে তিনি বারংবার রাজকে সুযোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই সুযোগ নষ্ট করেছেন বাংলাদেশী নায়ক।
আইনজীবী জানিয়েছেন, অন্য নারীদের সঙ্গে বেশ কয়েক বার হাতেনাতে ধরাও পড়েছেন তিনি। মুসলিম আইন অনুযায়ী তিন মাস পর কার্যকর হয়ে যাবে তাঁদের ডিভোর্স। প্রসঙ্গত, গুণিন সিনেমার শ্যুটিংয়েৎ পরী ও রাজের প্রেমের সূত্রপাত। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে সারেন তাঁরা। বিয়ের ১০ মাসের মাথায় জন্ম নেয় তাঁদের ছেলে রাজ্য। তারপর থেকেই অসান্তি লেগে রয়েছে রাজ-পরীর মধ্যে। রাজের দিকে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয় রাজের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগও করেছিলেন পরীমণি। কিছু দিন আগে রাজের ফেসবুক থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল নায়িকাদের গোপন ভিডিয়ো। তার পর তাঁদের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়।
তবে এইসবের মধ্যে আবার শোনা গিয়েছে যে ব্যক্তিগত তিক্ততাকে সরিয়ে রেখে পরী ও রাজ একসঙ্গে এক ওয়েব সিরিজ করবেন। যার নাম মায়া। চলতি মাসেই শুরু হবে শ্যুটিং। তবে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু হয়নি। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে বিস্তারিত জানা যাবে।