বাংলাদেশে ভাল রকম প্রভাব ফেলেছে হিমেল হাওয়া। প্রতিদিই দেশের উত্তর ভাগ সহ বিভিন্ন জেলায় একটু একটু করে নামছে তাপমাত্রার পারদ। সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা জেলার চুয়াডাঙ্গায়। পর পর দু'দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাড় কাঁপানো তীব্র শীতের সাথে কনকনে বাতাসে বিপর্যস্ত বাংলাদেশের উত্তরপ্রান্তের জনজীবন। দিনের বেলা সূর্যের আলো থাকলেও তেমন উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। ফলে শীতের তীব্রতা বেশি মনে হচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে একাধিক তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে দেশে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী পরিচালক কাউসার পারভীন জানিয়েছেন, "যেহেতু কুয়াশা আছে, তাই শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। আর একাধিক তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে জানুয়ারি মাসে।" আগামী দুদিন রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে যেতে পারে। এর পর অবশ্য তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে একটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হবে।
বর্তমানে খুলনা বিভাগসহ মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বদলগাছী, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া, রাজারহাট, বরিশাল ও খেপুপাড়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ আগামী দিনেও কিছু কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও বিকেলের পর থেকে শীত অনুভূত হবে। তবে আগামী তিন দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। সেই অনুযায়ী নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে এর কয়েক দিন পর রয়েছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা। তখন তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যেতে পারে।