বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়া স্টার হিরো আলমকে নিয়ে গঙ্গার এপারেও কম উৎসাহ নেই। সম্প্রতি জানা গিয়েছিল বাংলাদেশের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান তিনি। সেইমতো বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিলেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। তবে তা বাতিল করে দিয়েছেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। কারণ তার জমা দেওয়া তথ্যে নাকি বিস্তর গরমিল। এ নিয়ে আদালতের দারস্থ হয়েছেন হিরো। প্রার্থী হতে নির্বাচন কমিশনেও আপিল করেছেন হিরো আলম। নির্বাচনে তিনি লড়তে পারবেন কিনা তা সময় বলবে তবে ইতিমধ্যে হিরো আলমের সম্পত্তির পরিমাণ আলোচনায় ঝড় তুলেছে। শোনা যাচ্ছে, মাত্র চার বছরে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন ফেসবুক ও ইউটিউবের এই ভাইরাল তারকা।
হিরো আলম নির্বাচন লড়তে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় সামনে এসেছে তার সম্পত্তির খতিয়ান। আর সেখানেই নাকি বিস্তর গড়মিল পেয়েছেন বগুড়া জেলার প্রশাসক। মাত্র চার বছরের মধ্যেই নাকি কোটি কোটি টাকা ঢুকেছে আলমের অ্যাকাউন্টে। এত কম সময়ের মধ্যে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ তিনি কোথা থেকে পেলেন? তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
চমকে ওঠার মত সম্পত্তি হিরো আলমের
এর আগে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন হিরো আলম। তখন হিরোর সম্পত্তি বলে তেমন কিছুই ছিল না। ব্যাঙ্কে ছিল মাত্র কয়েক হাজার টাকা। সঙ্গে ছিল ৮৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি পুরনো মোটরসাইকেল, আড়াই লাখ টাকার আসবাবপত্র এবং স্ত্রীর এক ভরি সোনার গয়না। হলফনামায় হিরো আলম জানিয়েছিলেন, অভিনয় ও কৃষিকাজ করে তাঁর সংসার চলে। সেখান থেকে মোট আয় বার্ষিক ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে তাঁর কোনও নগদ টাকা নেই। ব্যাঙ্কে আছে ১ হাজার টাকা। কিন্তু চার বছরের ব্যবধানে বদলে গেছে সব কিছু। বর্তমানে বগুড়ায় ৯ শতক জমি কিনে বাড়ি বানিয়েছেন হিরো আলম। বর্তমানে তার কৃষি জমির পরিমাণ প্রায় ৫০ শতক। স্ত্রীর সোনার গয়নার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ ভরি। ব্যাঙ্কে রয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর হিরোর দাবি, এগুলোর কোনোটাই কালো টাকা নয়, সৎ পথে উপার্জিত টাকা। তবে হিরো আলম ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলফনামায় যা উল্লেখ করা হয়েছে, হিরো আলমের সম্পত্তি তার থেকে ঢের বেশি।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম শৈশবে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি এবং ডিশ সংযোগের ব্যবসা করেন। নিজেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিশ লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন। ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় আসেন হিরো আলম।