একই তিমিরে বাংলাদেশ, ৩টি হিন্দু মন্দিরে আটটি মূর্তি ভাঙচুর

অপর একটি ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে হালুয়াঘাটের বিলদোরা ইউনিয়নের পলাশকান্দা কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার পলাশকান্দা গ্রামের ২৭ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আলাল উদ্দিন নামের ওই ব্যক্তি অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে ওসি জানান। তাকে ময়মনসিংহের আদালতে হাজির করা হলে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার পলাশকান্দা কালী মন্দির কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সরকার মামলা করেন।

এছাড়াও, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপ-জেলার ঝাড়বাড়ি শাসন কালী মন্দিরে মঙ্গলবার পাঁচটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। মন্দির কমিটির সভাপতি জনার্দন রায়কে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, 'আমরা এখানে এমন কাজ কখনও দেখিনি।' লোকাল থানার ওসি আব্দুল গফুর জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গত সপ্তাহে, উত্তর বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলায় একটি হিন্দু মন্দির এবং হিন্দুদের বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। সেই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তিনটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছিল।

বাংলাদেশে চলতি বছরে সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসার ২,২০০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগই ঘটেছে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে। শুক্রবার লোকসভায় একথা জানিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হামলার ৪৭টি ঘটনা, ২০২৩ সালে ৩০২টি এবং ২০২৪ সালে ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ২,২০০টি। পাকিস্তানে, ২০২২ সালে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ২৪১টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, ২০২৩ সালে ১০৩টি এবং ২০২৪ সালে (অক্টোবর পর্যন্ত) ১১২টি ঘটনা ঘটেছে। সরকার আরও উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়া অন্য কোনও প্রতিবেশী দেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি।