Advertisement

Bangladesh News: তৃতীয় কোনও দেশে বাণিজ্যে ভারতের মাটি ব্যবহার করতে পারবে না বাংলাদেশ, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

ভারত বাংলাদেশকে বড় ধাক্কা দিল। ভারতের এই আঘাত বাংলাদেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতির জন্য খারাপ খবরের চেয়ে কম কিছু নয়। বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দিল ভারত।

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করল দিল্লিট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করল দিল্লি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 09 Apr 2025,
  • अपडेटेड 6:25 PM IST

 বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস গত মাসে চিন সফর করেছন। সেখানে তিনি ভারতের উত্তর-পূর্ব সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি স্থলবেষ্টিত এবং সমুদ্রে তাদের প্রবেশাধিকারের একমাত্র পথ হল বাংলাদেশ। ইউনূস চিনকে বাংলাদেশের পরিস্থিতির সুযোগ নিতে আমন্ত্রণ জানান । ইউনূসের এই বক্তব্যে ভারত অসন্তুষ্ট ছিল। এবার ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে ভুটান, নেপাল এবং মায়ানমারের সঙ্গে  বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রভাবিত হতে পারে।

বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দিল ভারত
বাংলাদেশকে বড় ধাক্কা দিয়ে ভারত তার প্রতিবেশী দেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড  তাদের ২৯ জুন, ২০২০ তারিখের পুরনো আদেশ বাতিল করে একটি সার্কুলার জারি করেছে, যে আদেশ অনুসারে বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য দেশে পরিবহন করা পণ্য ভারত হয়ে পাঠানোর জন্য যে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল,  এখন ভারত এই সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে।

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিষিদ্ধ, ঢাকার উপর এর প্রভাব কী হবে?
কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (CBIC) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে যে ২০২০ সালে চালু হওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধাটি তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য ভারতীয় স্থলপথ ব্যবহার করে ভারতীয় বন্দর এবং বিমানবন্দরে এই সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশ ও ভুটান, নেপাল এবং মায়ানমারের মধ্যে বাণিজ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও, নেপাল এবং ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলি এই সুবিধা বন্ধের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে কারণ এটি বাংলাদেশের সঙ্গে  তাদের বাণিজ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে।

প্রাক্তন বাণিজ্য কর্মকর্তা এবং জিটিআরআই-এর  প্রধান অজয় ​​শ্রীবাস্তব বলেন, ভারত গত ২০ বছর ধরে বাংলাদেশের স্বার্থকে সমর্থন করে আসছে। ভারত তার বাজারে মদ এবং সিগারেট ছাড়া বাংলাদেশি পণ্যের জন্য অন্য কোনও শুল্ক ছাড়াই বিশেষ ছাড় দিয়েছিল। তিনি বলেন, "তবে, চিনের সহায়তায় বাংলাদেশ চিকেন নেক এলাকার কাছে একটি কৌশলগত ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা করছে, এটি এর পিছনে কোনও কারণ থাকতে পারে। এছাড়াও, ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরের কাছে লালমনিরহাটে বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করার জন্য বাংলাদেশ চিনা বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।"

Advertisement

পুরো বিষয়টা কী ছিল?
মহম্মদ ইউনূস সম্প্রতি তার বিবৃতিতে বলেছেন, "ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত এবং 'সেভেন সিস্টার' নামে পরিচিত ভারতের সাতটি রাজ্য। তারা স্থলবেষ্টিত, ভারতের এমন একটি অঞ্চল যা চারদিকে স্থল দ্বারা বেষ্টিত। তাদের সমুদ্রে পৌঁছানোর কোনও উপায় নেই। এই পুরো অঞ্চলের জন্য সমুদ্রে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় আমরা। এটি অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। এটি চিনের অর্থনীতিকে প্রসারিত করতে পারে। জিনিসপত্র তৈরি করুন, পণ্য প্রস্তুত করুন, বাজারে আনুন, জিনিসপত্র চিনে নিয়ে যান এবং তারপর সেখান থেকে সমগ্র বিশ্বে পাঠান।"

Read more!
Advertisement
Advertisement