বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখেছেন। এই চিঠিতে তিনি বলেছেন যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমন্বয়ের চেতনা ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করার ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক হবে। বাংলাদেশের জনগণ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে ইদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মোদী। সেই বার্তার জবাবে ইউনূস এই চিঠিটি লিখেছিলেন। ইউনূস এই চিঠি এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্টেও করেছেন।
ইউনূস তাঁর চিঠিতে বলেছেন মোদীর 'চিন্তাশীল' বার্তা দুই দেশের মধ্যে 'মূল্যবোধের প্রতিফলন'। প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ভারতের জনগণের প্রতিও তার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
৬ জুনের চিঠিতে ইউনূল লিখেছেন, 'আমি নিশ্চিত যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমন্বয়ের চেতনা উভয় দেশকে আমাদের জনগণের কল্যাণের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে পরিচালিত করবে।' ভারত ও বাংলাদেশ- দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় থাকবে বলেই আশা প্রকাশ করেন ইউনূস। তিনি লেখেন, 'আমি আত্মবিশ্বাসী যে পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া আমাদের দুই দেশকে নিজেদের মানুষের জন্য একসঙ্গে কাজ করার পথ দেখাবে।'
ইউনূস লিখেছেন, 'এই উৎসব প্রতিফলনের সময় যা সম্প্রদায়গুলিকে উদযাপন, ত্যাগ, উদারতা এবং ঐক্যের চেতনায় একত্রিত করে এবং আমাদের সকলকে বিশ্বজুড়ে মানুষের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য একসঙ্গে কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।' ৪ জুন তারিখে লেখা তাঁর চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে এই উৎসব 'ভারতের সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।'
প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূসকে একটি চিঠি লিখে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। ৪ জুন, ২০২৫ তারিখের চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী লিখেছিলেন, 'ইদ-উল-আযহার শুভ উপলক্ষে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে আমার উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।' তিনি এই উৎসবের সাংস্কৃতিক তাৎপর্যের উপর জোর দিয়েছিলেন এবং ত্যাগ, করুণা এবং ভ্রাতৃত্বের চিরন্তন মূল্যবোধের প্রতিফলন তুলে ধরেছিলেন। তিনি ইউনূসের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনাও করেছিলেন।