১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানের নিপিড়নে হাত থেকে মুক্তি পায় পূর্ব পাকিস্তান। মুক্তিসংগ্রামের সফল সন্তান হিসাবে জন্ম হয় বাংলাদেশের। পূর্ব বঙ্গের মানুষের জীবনে আসে নতুন ভোর। দেখতে দেখতে সেই স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয়ে গেল। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও আসছেন মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
রাজধানী ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে ই-কমার্সে নারীদের ভূমিকা বিষয়ক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বালাদেশের বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তিনি জানিয়েছেন, সরাসরি এই পাঁচ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ছাড়াও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও কানাডার প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডোও ভারচুয়ালি যুক্ত থাকবেন অনুষ্ঠানে।
বিদেশমন্ত্রী আরো বলেন, মূলত পারস্পারিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বাড়াতেই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে চিনের সঙ্গে এ মুহূর্তে নতুন কোনও চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জনসমাগম পরিহার করে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানগুলো বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইনে প্রচার করা হবে। সূচিতে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটির প্রতিপাদ্য হবে ‘চিরন্তন বঙ্গবন্ধু’। গত সোমবার (৮ মার্চ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা সঞ্চালনা করেন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস প্রমুখ।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রনে আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে ভারতের অবদান অনস্বীকার্য। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী উদযাপনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন স্বয়ং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা যাচ্ছেন। ওই দিনই ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে নতুন একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হওয়ার কথা। উত্তরবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত এই নতুন ট্রেন চালু হচ্ছে। ঢাকা থেকে সেই ট্রেনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করতে পারেন মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা যাচ্ছে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম হোমাম্মদ সবার প্রথম বাংলাদেশ সফর করবেন। ১৭ মার্চ ৩ দিনের বাংলাদেশ সফরে যাবেন তিনি। এরপরেই ঢাকার যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মহেন্দ্র রাজাপেক্ষ। তাঁর ২ দিনের ঢাকা সফরে যাওয়ার কথা আগামী ১৯ মার্চ। পরবর্তী সপপ নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীর। তিনি ২২ মার্চ ২ দিনের সফরে বাংলাদেশ সফর করবেন। এরপর ভুটান সফর ভুটানের রাষ্ট্রপ্রধানের। সবশেষে ঢাকা সফর করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।