
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার শরীরের অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁর ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে। যেই কারণে ২৩ নভেম্বর থেকে ঢাকার হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। চিন, লন্ডন এবং বাংলাদেশের ডাক্তারেরা মিলে তাঁর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখছেন। তবে পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
যতদূর খবর, সোমবার সন্ধ্যাতে একটা বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছতে পারে ঢাকায়। এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হতে পারে লন্ডন বলে জানা যাচ্ছে। তবে এখনই এই বিষয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বরং চিকিৎসকেরা সবুজ সিগন্যাল দিলেই তাঁকে এয়ার লিফ্ট করা হবে। তার আগে নয়।
ভিআইপি ক্যাটাগরির নিরাপত্তা মিলছে
বাংলাদেশের ছাত্র-গণ আন্দোলনের পর থেকেই সেখানে চলছে অন্তবর্তী সরকার। সেই সরকারের প্রধান হলেন মহম্মদ ইউনূস। আর ইউনূস ইতিমধ্যেই ঝুঁকি না নিয়ে খালেদা জিয়াকে ভিআইপি ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছেন। ঠিক যেমনটা সেই দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রধানমন্ত্রী পান।
চলছে মহড়া
আসলে খালেদা জিয়ার শরীর একবারেই ভাল নেই। এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে লন্ডনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর সেই কারণে ঢাকার হাসপাতাল থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মহড়া দিচ্ছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর বিমান। এ ভাবে তারা নিয়ে রাখছে ট্রেনিং। যাতে প্রয়োজন পড়লেই দ্রুত খালেদা জিয়াকে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া যায়।
এখন শরীর কেমন?
যতদূর খবর, এখনও খালেদা জিয়ার শরীরের অবস্থা ভাল নয়। তাঁর চিকিৎসা চলছে। আর সেই চিকিৎসা যাতে আরও ভাল করে হয়, সেই কারণে তাঁকে লন্ডন উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চলছে বিএনপি-এর পক্ষ থেকে।
আসলে বাংলাদেশের ভোট রয়েছে সামনেই। আর সেখানে আপাতত ভাল জায়গায় রয়েছে খালেদার দল বিএনপি। এমন পরিস্থিতিতে খেলাদাকে আসন্ন ভোটে ৩টি জায়গায় দাঁড় করাতে চাইছে দল। তবে তাঁর শরীর আপাতত খুবই খারাপ। যার ফলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন কি না, সেই বিষয়টা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
যদিও বিএনপি এখনও আশাবাদী। তাঁরা খালেদার চিকিৎসায় কোনও রকম ত্রুটি রাখতে চাইছে না। এমনকী এই কারণে খালেদাকে লন্ডনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চলছে। এখন দেখার ঠিক কবে চিকিৎসা করাতে লন্ডনে পাড়ি দেন খালিদা। ডাক্তারেরা কবে সবুজ সংকেত দেন।