
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়দান সোমবার। সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে তাঁর মৃত্যুদণ্ডও ঘোষণা করা হতে পারে। তা সত্ত্বেও সাজা ঘোষণার আগে নিজের প্রতিবাদী ভাব দমিয়ে রাখলেন না তিনি। একটি অডিও বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের বাসিন্দাদের উদ্দেশে।
শেখ হাসিনা বললেন, 'আমি রায়ের পরোয়া করি না। কারণ, আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, তিনিই নেবেন।' তবে আগামী দিনে বাংলাদেশে তাঁর দল, আওয়ামী লিগ আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবে বলেও বড় ঘোষণা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের কয়েক ঘণ্টা আগে রবিবার রাতে শেখ হাসিনা এই অডিওবার্তায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকরারে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের তুলোধনা করেছেন। তিনি 'সুদখোর, খুনি, জঙ্গি' বলে তোপ দেগেছেন। হাসিনার কথায়, 'ইউনূস আওয়ামী লিগকে ধ্বংস করতে চাইছেন। কিন্তু তা এত সহজ নয়। আওয়ামী লিগ তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছে। কোনও ক্ষমতাদখলকারীর পকেট থেকে নয়।'
নিজের সাজা ঘোষণা নিয়ে হাসিনার মন্তব্য, 'বাংলাদেশের সংবিধান বলে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের পদ থেকে সরানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইউনূস তো সেটাই করেছেন। শাস্তি তো ওঁর পাওয়ার কথা। উনিই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।' , আন্দোলনকারীদের উপর তিনি গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন, হাসিনার বিরুদ্ধে এটাই মূল অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সরাসরি কাউকে হত্যার নির্দেশ দিইনি। পুলিশ রবার বুলেট ছুড়েছিল। তা প্রাণঘাতী নয়। মৃতদের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখলেই বোঝা যাবে, কী ভাবে তাঁদের মারা হয়েছে। ওরা বলছে, আমি নাকি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছি। আমি তো ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছিলাম। সেটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ? আর ভুক্তভোগীদের মুখের উপর ওরা যে দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে, সেটা কী ধরনের মানবিকতা?'
রায়ের প্রসঙ্গে হাসিনার বক্তব্য, ‘ওরা রায় ঘোষণা করুক। আমি পরোয়া করি না। আল্লাহ আমাকে এই জীবন দিয়েছেন। আল্লাহই নেবেন। আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাব। আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকব। আবার মানুষের হিতার্থে কাজ করব। বাংলাদেশের মাটির প্রতি আমি সুবিচার করবই।’