Advertisement

হল না 'কাজী' হওয়া! ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পাবেন না মেয়েরা

বাংলাদেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মহিলারা ম্যারেজ রেজিস্ট্রার হতে পারবেন না। মহিলাদের নিকাহ রেজিস্ট্রার হওয়া নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা রিটের ওপর এমনটাই রায় দিল হাইকোর্ট। যেখানে নারীরা বিয়ের রেজিস্ট্রার বা কাজী হতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। রিট আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে কোনো মুসলিম নারী নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

প্রতীকি ছবি
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 11 Jan 2021,
  • अपडेटेड 4:01 PM IST
  • মহিলারা ম্যারেজ রেজিস্ট্রার হতে পারবেন না
  • এমন নির্দেশ দিল বাংলাদেশের হাইকোর্ট
  • ফলে কোনো মুসলিম নারী নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবেন না

বাংলাদেশের সামাজিক ও বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মহিলারা ম্যারেজ রেজিস্ট্রার  হতে পারবেন না। মহিলাদের  নিকাহ রেজিস্ট্রার  হওয়া নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা রিটের ওপর এমনটাই রায় দিল হাইকোর্ট। যেখানে নারীরা বিয়ের রেজিস্ট্রার বা কাজী হতে পারবেন না বলে নির্দেশ  দিয়েছে উচ্চ আদালত। রিট আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে কোনো মুসলিম নারী নিকাহ রেজিস্ট্রার হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

১১ মাস ধরে নিখোঁজ কিশোরী, প্রেমিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল দেহ

হাইকোর্ট বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের  ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন। দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়ার পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ প্রত্যাশী আয়েশা সিদ্দিকা  রকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা রিট আবেদন করেছিলেন।  আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে  ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস কে সাইফুজ্জামান। গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এ রায় দেয় হাইকোর্ট। এবার লেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশিত হল। 

বৌভাতে প্রীতিভোজে কম পড়েছে মাংস! বর ও কনেপক্ষের সংঘর্ষ প্রাণ গেল কাকার

২০১৪ সালে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়ার পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে আয়েশা সিদ্দিকাসহ তিনজন মহিলার নামের একটি তালিকা আইন মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আইনমন্ত্রক বাংলাদেশের সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ওই প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। এরপর আইন মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন তালিকার এক নম্বরে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা। সেই সময় হাইকোর্ট রুল জারি করে এবং আইন মন্ত্রকের  সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। এই অবস্থায় ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে তা খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগের দেওয়া স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে।

Advertisement

আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছে, একজন মুসলিম ম্যারেজ রেজিস্ট্রার হতে হলে কিছু কাজ করতে হয়। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাতে বা বৃষ্টির মধ্যেই একজন নিকাহ রেজিস্ট্রারকে বিয়ের অনুষ্ঠানে ছুটতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নদী পার হতে হয়, কোথাও নৌকায় করে পার হতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে একজন নারীর পক্ষে এসব কাজ করা সম্ভব নয়। রায়ে আরও বলা হয়, মুসলিম ম্যারেজ রেজিস্ট্রারদের কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। সেসব নিয়মও একজন নারীর পক্ষে মেনে চলা সম্ভব নয়। তবে হাইকোর্ট এটা বলে , আমাদের সংবিধান নারী ও পুরুষের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। আমরা তা অস্বীকার করছি না। কিন্তু অন্যান্য অফিসে নারীরা যে ধরনের কাজ করেন, ম্যারেজ রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ  সম্পূর্ণ আলাদা। বিয়ে শুধুই সামাজিক অনুষ্ঠান নয়, এটা একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানও। আর এই একারণেই একজন নারীর পক্ষে নিকাহ রেজিস্ট্রার হওয়া সম্ভব নয়।


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement