কীভাবে লাইমলাইটে থাকতে হয় রাখি সাওয়ান্তের চেয়ে ভালো কে জানে। কখনও রাখি সাওয়ান্ত তার লুক নিয়ে আবার কখনও তার বিতর্কিত বিয়ে নিয়ে আলোচনায় থাকেন। এবার নিজের জীবনের ভীতিকর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে আবারও আলোচনায় রয়েছেন রাখি।
রাখি যখন বিগ বস ১৫-এর ঘরে ছিলেন, অভিনেত্রী প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি ১৬ বছর বয়সে স্তনের অস্ত্রোপচার করেছিলেন। একটা কথা বলতেই হবে যে রাখি সাওয়ান্ত সবসময় তার কসমেটিক সার্জারি নিয়ে দায়মুক্তির কথা বলেছেন। বিশ্বের সামনে তার কসমেটিক সার্জারি নিয়ে তিনি কখনই লজ্জিত বোধ করেননি।
রাখি সাওয়ান্ত সম্প্রতি ইটাইমসের সাথে কথোপকথনে তার জীবনের এই ভীতিকর অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি করেছেন। রাখি বলেছিলেন যে তিনি যখন বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন, তখন কসমেটিক সার্জারির প্রবণতা ছিল। রাখি বলল- ব্রেস্ট সার্জারি। এটা খুব ভীতিকর ছিল। আমার বয়স যখন মাত্র ১৫-১৬ বছর, সেই সময় আমার স্তনের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এটা খুব বিপজ্জনক ছিল। আমি নাবালিকা ছিলাম। আমি বলিউডে প্রবেশ করতে চেয়েছিলাম।
রাখি আরও বলেন, সেই সময় মিস ওয়ার্ল্ড থেকে মিস ইউনিভার্স সব সার্জারি করা হচ্ছিল। সে সময় সবাই বলেছিল, বলিউডে প্রবেশ করতে চাইলে আপনার শরীর ও চেহারা নিখুঁত হতে হবে। আমি তখন অসম্পূর্ণ ছিলাম, তাই আমি অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে শুয়ে পড়লাম এবং শান্ত মেয়ে থেকে হট মেয়েতে পরিণত হলাম।
তার সংগ্রাম সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, রাখি বলেছিলেন যে তিনি আম্বানি পরিবারের পার্টিতে ওয়েট্রেস হিসাবেও কাজ করেছেন। রাখি আরও বলেন, বলিউডে পা রাখার আগে তাকে তার স্বপ্নের জন্য অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে।
রাখি সাওয়ান্তের ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গেলে, কিছুক্ষণ আগে তিনি তার স্বামী রিতেশের সঙ্গে বিয়ের কথা ঘোষণা করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন। বিগ বস ১৫-এ প্রথমবারের মতো স্বামীর সঙ্গে বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দেন রাখি। শোতে, রাখীকে রিতেশের প্রতি তার প্রেমের গীতিনাট্য পড়তে দেখা গিয়েছিল, কিন্তু শো শেষ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে, রাখি রিতেশের থেকে আলাদা হয়ে যান।
যতদূর স্তন সার্জারির কথা, রাখি সাওয়ান্ত অনেকবারই এ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। রাখি যে এখানে পৌঁছতে অনেক সংগ্রাম করেছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা অভিনেত্রীকে তার ভবিষ্যত জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই।