Valentine's Day: বলিউডের ছবিতে প্রেম দেখতে খুব সুন্দর এবং সহজ দেখালেও জীবনে প্রেমের অর্থ এবং বাস্তবতা ভিন্ন। চোখে ভালোবাসা এবং চলচ্চিত্রে সুখী সমাপ্তির মতো জিনিস বাস্তব জীবনে বিরল। এমনকী যে অভিনেতারা পর্দায় নিখুঁত পার্টনার, তারা তাদের বাস্তব জীবনে ততটা নিখুঁত নন। ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক অভিনেতা আছেন যাদের প্রতারণা এবং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের খবর আমরা শুনেছি। আজ আমরা সেই অভিনেতাদের সম্পর্কে কথা বলতে যাচ্ছি।
অক্ষয় কুমার - রবিনা ট্যান্ডন
মোহরা ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন অক্ষয় কুমার ও রবিনা ট্যান্ডন। শোনা যায় তাদের অনস্ক্রিন রোম্যান্স শীঘ্রই অফস্ক্রিন রোম্যান্সেও পরিণত হয়েছিল। দুজন প্রায় তিন বছর একে অপরকে ডেট করেছেন এবং বাগদানও করেছিলেন। কিন্তু দুজনেই বিয়ে করতে পারেননি। অক্ষয় কুমার সম্পর্কে বলা হয়, তিনি তখন হার্টথ্রব ছিলেন। ব্রেকআপের পর অক্ষয় সম্পর্কে রবিনা বলেছিলেন, প্রতিটি সুন্দরী মেয়েকে প্রস্তাব দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে তার।
অক্ষয় কুমার - শিল্পা শেঠি
এটাও বলা হয়েছে যে যখন অক্ষয় ও রবিনার ব্রেক আপ, সেই সময় খিলাড়ি কুমার শিল্পা শেঠির সঙ্গে ডেট করছিলেন। ম্যায় খিলাড়ি তু আনারি ছবির সময় অক্ষয় ও শিল্পার দেখা হয়। দুজনেই বহু বছর এক সঙ্গে ছিলেন এবং তার পরে ২০০০ সালে তাদের দুজনের খুব খারাপ ব্রেকআপ হয়েছিল। শিল্পা তার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, অক্ষয় কুমার তাকে ব্যবহার করেছিলেন এবং তিনি শিল্পা এবং তার বেস্টফ্রেন্ড টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে একযোগে ডেট করছিলেন।
গোবিন্দা - সুনীতা - রানি মুখোপাধ্যায়
বিবাহিত গোবিন্দা সম্পর্কে খবর ছিল যে অভিনেত্রী রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক চলছে। হদ কর দি আপনে এবং চলো ইশক লড়ায়েঁ এবং আরও অনেক ছবিতে এক সঙ্গে কাজ করেছেন তারা। বলা হয়, গোবিন্দা ও রানির অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি শুধু ভালো অভিনয়ই ছিল না, বাস্তব জীবনেও দুজনের মধ্যে গবীর সম্পর্ক ছিল। দুজনেই লিভ-ইন রিলেশনে থাকছেন বলেও খবর আসে। বিষয়টি জানার পর গোবিন্দার স্ত্রী সুনীতা আহুজা বিষয়টি নিজের হাতে তুলে নেন। এর পর গোবিন্দের সম্পর্কের অবসান ঘটে এবং তিনি তার স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চান।
আদিত্য পাঞ্চোলি - জরিনা ওয়াহাব
আদিত্য পাঞ্চোলি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বিতর্কিত সেলিব্রিটিদের একজন। মারামারি থেকে শুরু করে সব ধরনের বিতর্কের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে আদিত্যের নাম। এক সময় খবর ছিল কঙ্গনা রানাউতকে ডেট করছেন আদিত্য পাঞ্চোলি। সে সময়ও আদিত্য ছিলেন জরিনা ওয়াহাবের স্বামী। যদিও, পরে আদিত্য স্বীকার করেননি যে তিনি কখনও কঙ্গনার সঙ্গে ডেট করেছেন।
রণবীর কাপুর - দীপিকা পাদুকোন
বলিউডের বিখ্যাত ক্যাসানোভা রণবীর কাপুর। দীপিকা পাদুকোন থেকে ক্যাটরিনা কাইফ পর্যন্ত সুন্দরীদের ডেট করেছেন রণবীর। দীপিকা ও রণবীরের দেখা হয়েছিল ‘বচনা অ্যায় হাসিনো’-তে। দুজনেই প্রেমে পড়েছিলেন এবং সম্পর্ক এতটাই গুরুতর হয়ে গিয়েছিল যে দুজনেই একে অপরের বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখাও করেছিল। যাইহোক, পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায় যখন রণবীর দীপিকা কে প্রতারণা করতে গিয়ে ধরা পড়েন। জানা যায়, দীপিকার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন একাধিক বলি সুন্দরীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রণবীর। তাদের মধ্যে ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ-ও। ক্যাটরিনার সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কেও ছিলেন কয়েক বছর। তবে সে সম্পর্কও টেকেনি। দীপিকা নিজেই স্বীকার করেছিলেন যে রণবীর তার হৃদয় খুব খারাপভাবে ভেঙেছিলেন।
দিলীপ কুমার - সায়রা বানু
অভিনেতাদের জন্য তাদের স্ত্রী বা বান্ধবীর সঙ্গে প্রতারণা করা নতুন কিছু নয়। অতীতেও এমন হতো। স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে প্রতারণার ভুল করলেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারও। এ প্রসঙ্গে আত্মজীবনীতে তিনি বিষয়টিকে নিজের সবচেয়ে বড় ভুল বলে উল্লেখ করেছেন। সায়রা ও দিলীপ ১৯৭২ সালে বিয়ে করেন। ১৯৮১ সালে, দিলীপ সায়রার স্বামী হয়ে আসমা রেহমানকে বিয়ে করেন। এই সম্পর্ক দুই বছর স্থায়ী হয় এবং তারপর দিলীপ সায়রার কাছে আসেন। সায়রা দিলীপ সাহেবকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।
রাজ বব্বর - স্মিতা পাটিল
দিলীপ কুমারের মতো রাজ বব্বরের সঙ্গেও কিছু ঘটেছে। রাজ বাব্বর নাদিরাকে বিয়ে করেন। কিন্তু স্মিতা পাটিলের সৌন্দর্য দেখে তার প্রতি মন ছুঁয়ে যায়। স্মিতার জন্য স্ত্রী-সন্তান রেখে তাঁর কাছে চলে গিয়েছিলেন রাজ বব্বর। যাইহোক, স্মিতা পাটিল অকাল প্রয়াণের পর তিনি তার প্রথম স্ত্রী এবং সন্তানদের কাছে ফিরে যান। এরপর নাদিরাও রাজকে ক্ষমা করে দেন।
রাজ কাপুর - কৃষ্ণা কাপুর - নার্গিস
কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ কাপুর তার স্ত্রী কৃষ্ণা কাপুরের সাথে প্রতারণা করার জন্যও পরিচিত। রাজ কাপুর যতটা বলিউডের একজন মহান অভিনেতা ছিলেন, তার ব্যক্তিগত জীবনও ততটাই জটিল ছিলেন। বলা হয়, অভিনেত্রী নার্গিসের প্রেমে পড়েছিলেন রাজ কাপুর। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছায় তিনি কৃষ্ণাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরও রাজ ও নার্গিসের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্ক ৯ বছর ধরে চলে এবং তারপর যখন রাজ তার স্ত্রী এবং সন্তানদের ছেড়ে যেতে রাজি হননি, তখন তাদের দুজনেরই বিচ্ছেদ ঘটে। রাজ ও নার্গিস দুজনের জন্যই এই ব্রেকআপটা খুব কঠিন ছিল।