ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক অদ্ভুত জায়গা। একদিকে আধুনিক গল্পের চিত্রায়ণ দেখা যায়, অন্যদিকে নায়কদের অর্ধেক বয়সি নায়িকাদের সঙ্গে রোম্যান্স করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, এমন বহুবার ঘটেছে যে অভিনেত্রীরা তাঁর চেয়ে বড় কোনও অভিনেতার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। খবর অনুযায়ী, রইস ছবিতে শাহরুখ খানের মায়ের চরিত্রে স্বরা ভাস্করকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল! মাদার্স ডে উপলক্ষে দেখুন অনস্ক্রিন মায়েদের কাহিনি যাঁরা তাঁদের চেয়ে বেশি বয়সি অভিনেতাদের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
নার্গিস, সুনীল দত্ত এবং রাজেন্দ্র কুমার: আইকনিক ছবি মাদার ইন্ডিয়া-য় সুনীল দত্ত এবং রাজেন্দ্র কুমারের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নার্গিস। এ সময় নার্গিসের বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর। সুনীল দত্তেরও বয়স ছিল ২৮ বছর এবং রাজেন্দ্রের বয়স ছিল 30 বছর।
সঞ্জয় দত্ত এবং রিমা লাগু: বাস্তব ছবিতে সঞ্জয় দত্তের অভিনয় খুব প্রশংসিত হয়েছিল। ছবিটি তাঁকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তবে আপনি কি জানেন, সঞ্জয় দত্তের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা রিমা লাগুর বয়স দত্তের সমান ছিল? হ্যাঁ, ছবিতে ৪১ বছর বয়সি রিমা লাগু 40 বছর বয়সি সঞ্জয় দত্তের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
শেফালি শাহ ও অক্ষয় কুমার: ওয়ক্ত ছবিতে শেফালি শাহ অক্ষয় কুমারের মা এবং অমিতাভ বচ্চন স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সেই সময় অক্ষয়ের বয়স ছিল ৩৮ বছর এবং শেফালির বয়স ছিল ৩৩ বছর।
অমিতাভ বচ্চন এবং রোহিনী হাট্টাঙ্গাডি: ১৯৯০ সালে নির্মিত ছবি অগ্নিপথ-এ রোহিনী অমিতাভের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আপনি জেনে অবাক হবেন যে রোহিনী-র বয়স ছিল ৩৫ বছর এবং অমিতাভ বচ্চনের বয়স ৪৮ বছর ছিল।
অনুষ্কা শেঠি ও প্রভাস: হ্যাঁ, বাহুবলী ছবিতেও এটি ঘটেছে। অনুষ্কা শেঠি দেবসেনার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যিনি ছিলেন অমরেন্দ্র বাহুবলীর স্ত্রী এবং মহেন্দ্র বাহুবলীর মা। এই ছবিটির সময়, অনুষ্কা শেঠির বয়স ছিল ৩৬ বছর এবং বাহুবলী প্রভাসের বয়স ৩৮ বছর।
সোনালি কুলকর্নি ও সলমন খান: সলমন খানের ছবি ভারত-এ এমনটাই ঘটেছিল। ৪৪ বছর বয়সি অভিনেত্রী সোনালি কুলকর্নি এই ছবিতে ৫৩ বছর বয়সি সলমন খানের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
শিবা চাড্ডা ও শাহরুখ খান: অভিনেত্রী শিবা চাড্ডা জিরো ছবিতে শাহরুখ খানের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সে সময় শাহরুখের বয়স ছিল ৫৩ বছর এবং শিবার বয়স ৪৬।