Shahrukh Khan Son Aryan Khan: বাবা কয়েদিন নম্বর ৭৮৬। আর ছেলে কয়েদি নম্বর এন৯৫৬। বাবা সিনেমায়, রিল লাইফে। আর ছেলে রিয়েল লাইফে। বাবার নাম শাহরুখ খান। আর তাঁর ছেলে আরিয়ান খান।
বাবা বীর-জারা সিনেমায় পাকিস্তানের জেলে বন্দি ছিলেন। সেখানে তিনি ছিলেন কয়েদি নম্বর ৭৮৬। আর ছেলে আর্থার রেড জেলে বন্দি। সে কয়েকদি নম্বর এন৯৫৬।
শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে আরও কিছুদিন জেলে থাকতে হবে। জেলের বাইরে আসতে থাকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ তার জামিন নিয়ে পরবর্তী শুনানি ২০ অক্টোবর।
বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হয়েছিল। তবে তার জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। ফলে এখনও তাকে থাকতে হবে জেলে গরাদের পেছনেই।
এদিন আদালতে শুনানির সময় এনসিবির আইনজীবীরা আদালতে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পেশ করেছেন।
দায়রা আদালতের বিচারক বি বি পাটিল কোনও নির্দেশ দেননি।
মুনমুন ধমেচার আইনজীবী আলি খানের দাবি, বিচারক বলেছেন তার অনেক কাজ রয়েছে। তবে পুরো চেষ্টা করবেন ২০ তারিখ সকালে যত তাড়াতাড়ি হয় নির্দেশ দেওয়ার চেষ্টা করেবেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, এই মামলায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সব অভিযুক্তের আইনজীবীর নিজেদের কাগজপত্র পেশ করেছেন। এগুলো রেকর্ড করতে হবে। যা আদালতের কাজ। আর সেই জন্য কিছুটা সময় লাগবে আর। আর তাই ২০ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে, এনসিবি দাবি করেছে আরিয়ান খান এই ব্যাপারের সঙ্গে যুক্ত। মাদক কেনাবেচার ব্যাপারে সব কিছু জানা ছিল তার। মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তার।
আরিয়ান খানের আইনজীবী আমিত দেশাই জানতে চান, এই ছেলেটাকে দেখি আপনাদের মনে হয় যে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে?
তিনি দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।
শাহরুখের পরিচয় ছাড়াই
এর আগে জামিনের আবেদন সে নিজের বাবার নাম না লিখে বলেছে সে একজন বলিউড তারকার ছেলে। তার ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে। এর পাশাপাশি ফাইন আর্টস, সিনেম্যাটিক আর্টসেও ডিগ্রি রয়েছে। সে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন প্রোডাকশনের কোর্স করেছে।
সে আরও বলেছে, সে দেশের দায়িত্বশীল এক নাগরিক। আর সে নিরপরাধ। এখনও পর্যন্ত তার রেকর্ড ভাল। কোনও বেআইনি কাজ সে করেনি। এমন কোনও কাজে তার নাম আসেনি। এই মামলায় তার নাম ভুল করে চলে এসেছে। সে কোনও ভুল কাজ করেনি। তার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, তার থেকে কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি। ২ অক্টোবর যখন এনসিবি তাকে ধরেছিল, তখন তাঁর কাছ থেকে কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি।
আরিয়ানের কাছ থেকে নার্কোটিক্স ড্রাগস এবং সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স পাওয়া যায়নি। তাই এনডিসিপি আইনে তাকে রাখা যাবে না। যদি আদালত মনে করে তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা জামিনের অযোগ্য, তা হলেও তথ্যের অভাবে তার বিরুদ্ধে কোনও চার্জ লাগানো যাবে না। এই মামলা পুরোপুরি নো-এভিডেন্সের। জামিনের আবেদনে আরও বলা হয়েছে, সে তরুণ। এবং তার কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই। তেমন কোনও মানুষের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। এর আগে মাদক সংক্রান্ত কোনও মামলায় সে ধরা পড়েনি। ১৯৮৫ সালের এনডিপিসি আইনের ৮(সি), ২০(বি), ২৭, ২৮, ২৯ এবং ৩৫ নম্বর ধারা অনুসারে কোনও অভিযোগ আরিয়ানের ওপর প্রমাণিত হয়নি বা সেই সম্পর্কিত কোনও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।