ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভের মঞ্চ নিজের গান দিয়ে কাঁপিয়ে দিলেন র্যাপার সৃষ্টি তাবড়ে। তিনি নিজের র্যাপ দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভের পরিবেশ রোমাঞ্চিত করে তুললেন। এর পাশাপাশি নিজের সংঘর্ষের কথা সকলকে উদ্বুদ্ধ করে। সৃষ্টি জানান যে তিনি এখন জনপ্রিয় র্যাপার হওয়ার দিকে এগিয়ে গিয়েছেন কিন্তু এমন একটা সময় ছিল যে তাঁর কথা বলাও কারোর পছন্দ ছিল না।
সমস্য়ায় ভরা শৈশব ছিল সৃষ্টির
সৃষ্টি তাবড়ে জানিয়েছেন যে তাঁর শৈশব খুবই সমস্যায় ভরা ছিল। তাঁর বাড়িতে যে কাজ করতে আসত, সে তিনবছর পর্যন্ত সৃষ্টিকে শারীরিক নির্যাতন করেছেন। সৃষ্টি এ প্রসঙ্গে বলেন যে তাঁর যখন চার বছর বয়স তখন তাঁর মা-বাবা বাড়িতে এক কাজের লোক রাখে। তাঁর অভিভাবক দুজনেই কর্মরত ছিলেন তাই কাজের লোকই সব কাজ দেখাশোনা করত। কিন্তু সেই পরিচারিকার সঙ্গে সৃষ্টিদের চেনাশোনা কারোর সম্পর্ক শুরু হয় এবং সেটা সৃষ্টি জানতে পেরে যায়। তারপর থেকেই ওই পরিচারিকা তাঁকে মারধর করতে শুরু করে দেয়। সৃষ্টি যাতে তাঁর মা-বাবাকে মারধরের বিষয়ে না বলেন তার জন্য ভয় দেখাতো। তবে পরিচারিকার সম্পর্ক ভেঙে গেলও সে সৃষ্টিকে মারধর করতে ভালোবাসত তাই মারধর থামেনি। সৃষ্টি বলেন, আমায় মারধর করার নতুন নতুন পদ্ধতি খুঁজতেন।
তাঁর জীবনকে প্রভাবিত করেছে
সৃষ্টির শৈশবের এই ঘটনা তাঁর আগামী জীবনকেও বেশ প্রভাবিত করেছে। একদিকে যখন বাড়িতে পরিচারিকার দ্বারা শোষিত হচ্ছিলেন অপরদিকে স্কুলের প্রথমদিকে তাঁর কোনও বন্ধু ছিল না। একটা ঘটনা প্রসঙ্গে সৃষ্টি বলেন যে, ছোটবেলায় সবাই স্ক্র্যাপবুকে কিছু না কিছু লিখত। আমার মনে আছে একজন লিখেছিলেন যে সৃষ্টির কথা বলা সে একেবারে পছন্দ করে না। আমার এই বিষয়টি খুব খারাপ লেগেছিল। আমার মন ভেঙে গিয়েছিল। যার ফলে আমার আত্মবিশ্বাস ভেঙে যায়। তবে সৃষ্টি আসল পরিচয় পান হস্টেল রিয়্যালিটি শো থেকে।
সৃষ্টি এখন কেরিয়ারের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন
২০ বছর বয়স থেকে সৃষ্টির জীবন বদলে যেতে শুরু করে। তিনি বলেন যে তিনি লিখতে শুরু করেন, অনেক লিখতেন তিনি। সৃষ্টি তাঁর লেখা পুরো পরিবারকে শোনাতেন। এখন সৃষ্টি তাঁর র্যাপ কেরিয়ারের প্রাথমিক পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি কেবল তার মনের কথা বলতে জানেন, র্যাপিংয়ের ব্যাকরণ বা প্রযুক্তিগত ভাষা জানেন না। কিন্তু তিনি সবকিছু এখন পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তিনি র্যাপ জগতে নিজের নাম উজ্জ্বল করতে চান।