কঙ্গনা-হৃত্বিক 'ই-মেল' বিতর্ক মামলা এবার সাইবার সেল থেকে গেল ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্টালিজেন্স ইউনিটের হাতে। মামলায় নতুন মোড় আসতেই হৃত্বিককে ট্যাগ করে কঙ্গনা টুইটে লিখলেন, 'অতীত ভুলে এবার এগোনো উচিত'।
কঙ্গনা-হৃত্বিক 'ই-মেল' বিতর্ক মামলা এতদিন ছিল মুম্বই পুলিসের সাইবার প্রতারণার শাখার হাতে। হৃত্বিকের অভিযোগ ছিল গত চার বছরে এই মামলা বেশিদূর এগোয়নি। কয়েকদিন আগেই মুম্বইয়ের পুলিস কমিশানারকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছিলেন হৃত্বিকের আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি। অবশেষে সোমবার এই মামলা ক্রাইম ইন্টালিজেন্স ইউনিট (Crime Intelligence Unit)-এর হাতে গেল।
এই বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই হৃত্বিককে কটাক্ষ করে কঙ্গনা টুইট করেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, 'আবার শুরু হল, আমাদের ব্রেক-আপের এত বছর পর। এখন তো ওর ডিভোর্সও হয়ে গিয়েছে। তবুও কিছুতেই এগিয়ে যাচ্ছে না। কোনও মেয়েকে ডেট করছে না। যখন আমি সাহস জুগিয়ে আমার ব্যক্তিগত জীবনে আশার আলো খুঁজছি তখন আবার এই নাটক শুরু করল হৃত্বিক। কতদিন এইরকমভাবে কাঁদবে একটা ছোট্ট অ্যাফেয়ারের জন্য?'
প্রসঙ্গত, হৃত্বিকের অভিযোগ ছিল, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কঙ্গনার ই-মেল অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁকে ১৪৩৯টি মেল পাঠানো হয়েছে। এই সমস্ত ই-মেল তাঁর উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেছে। হৃত্বিতের আইনজীবী দাবি করেন, কঙ্গনার কিছু মন্তব্যে তাঁর মক্কেলের মানহানি হয়েছে। এর ভিত্তিতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯-এর ৬৬ (সি এবং ডি) ধারায় মামলাও রুজু হয়েছিল। সেটি এবার হস্তান্তরিত হল ক্রাইম ইন্টালিজেন্স ইউনিটে।
২০১৬-তে এক সাক্ষাত্কারে কঙ্গনা হৃত্বিককে 'সিলি এক্স' বলে খোঁচা দেওয়ার পর থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত। এরপরই ই-মেল চালাচালির ঘটনায় পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন হৃত্বিক।
২০১০-এ 'কাইট'-এ একসঙ্গে অভিনয় করেন হৃত্বিক-কঙ্গনা। এরপর ২০১৩-তে 'কৃশ ৩'-তে অভিনয়ের সময়ই দুজনে ঘনিষ্ঠ হন। ২০১৪-তে করণ জোহরের পার্টিতে অন্তরঙ্গ অবস্থায় কঙ্গনা-হৃত্বিকের একটি ছবিও ভাইরাল হয়। কঙ্গনা বরাবর হৃত্বিকের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা বললেও, হৃত্বিক এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি।