দেবাশিস সেন শর্মা পরিচালিত এবং মিল্কিওয়ে ফিল্মস দ্বারা প্রযোজিত নতুন ওয়েব সিরিজ 'শব চরিত্র', আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আসছে ক্লিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সম্প্রতি কলাকুশলীদের নিয়ে হয়ে গেল সিরিজের ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান।
থ্রিলারধর্মী এই সিরিজে রয়েছেন একঝাঁক পরিচিত মুখ। মুখ্য চরিত্র অবিনাশের ভূমিকায় রয়েছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। এছাড়াও একটি বিশেষ চরিত্রে, মৃণালিনীর (মনোরোগ বিশেষজ্ঞ) ভূমিকায় দেখা যাবে জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তিকে।
এছাড়াও দেবব্রতর চরিত্রে যুধাজিৎ সরকার, সীমার (অবিনাশের স্ত্রী) চরিত্রে অঙ্কিতা মাঝি, কে. সি. নাগের (অঙ্ক শিক্ষক) ভূমিকায় পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৈকত (অবিনাশের বন্ধু) চরিত্রে রয়েছেন রানা বসু ঠাকুর এবং তুলিকা চরিত্রে রয়েছেন পায়েল রায় (অবিনাশের প্রেমিকা)।
'শব চরিত্র' সিরিজের কাহিনি লিখেছেন বলাকা ঘোষ ও দেবাশিস সেন শর্মা এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন আদার ব্যাপারি। সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলেছেন অম্লান সাহা। সিরিজের সম্পাদনা করবেন কৌস্তভ সরকার। কলকাতার একাধিক লোকেশনে হয়েছে 'সব চরিত্র' -র শ্যুটিং।
বছর পঁয়তাল্লিশের লেখক অবিনাশের গল্প আর বিক্রি হচ্ছে না। এদিকে প্রকাশক ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছেন। অগত্যা আশেপাশের জীবন্ত মানুষের জীবনে, গোয়েন্দার মতো উঁকিঝুঁকি মেরে নিজের গল্প খোঁজে সে। যা থেকে সিনেমা বা নিতান্ত একটা ওয়েব সিরিস হতে পারে। বউ -ছেলে নিয়ে সংসার আর বিবাহিত প্রেমিকার নিষিদ্ধ প্রেমের ওমই অবিনাশের রুটিন জীবন।
চায়ের দোকানে দেখা হয়ে যাওয়া পৃথিবীর অঙ্ক না মেলাতে পাড়া অঙ্কের মাস্টার কালুচরণ নাগ যখন, ছেলের অঙ্কের মাস্টার হয়ে আসে তখন অবিনাশের গল্প হাতের মুঠোয় মনে হয়।
কিন্তু অঙ্কের মাস্টার সব অঙ্কের হিসেব গুলিয়ে দিয়ে একটা গোপন ইঙ্গিত দেয় অবিনাশকে। গল্পের গন্ধ পায় অবিনাশ। কিন্তু গল্প এগোতে না এগোতেই একদিন হঠাৎ মারা যান তিনি।
সেখানে উপস্থিত অবিনাশ পুলিশের নজরে পড়ে যায়। অলিএন্ডারের বিষ পাওয়া যায় মাস্টারের শরীরে। পুলিশ ইনস্পেক্টর দেবব্রত তদন্ত শুরু করেন।
হঠাৎ করেই সেঁজুতির দেখা পায় অবিনাশ। ওষুধের দোকানে দাঁড়িয়েই মজার গল্পের গন্ধে তাঁর পিছু নেয়। জানতে পারে সেঁজুতি আর আনোয়ারের গল্প। কিন্তু গল্প শেষের আগেই সেঁজুতি আত্মহত্যা করে।
পুলিসের জেরায় বিধ্বস্ত অবিনাশ সাংবাদিক বন্ধু সৈকতের কাছে মদ্যপ অবস্থায় স্বীকার করেন এই বিচিত্র ক্ষমতা। সৈকত নিউস চ্যানেলে সম্প্রচার করে খবরটা। সংবাদমাধ্যম ধাওয়া করে অবিনাশকে।
প্রেমিকার কথায় বাধ্য হয়ে সে যায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মৃণালিনীর কাছে। তিনি বুদ্ধি দেয়, যখন এরকম সন্দেহ হচ্ছে অবিনাশের মনে তখন ও মৃত চরিত্রদের নিয়ে লিখুক, তাহলে তো আর তারা মারা যাওয়ার ভয় থাকবে না।
দ্রৌপদিকে নিয়ে লিখতে শুরু করে অবিনাশ। পুলিশের বাঁধন আরও শক্ত হয় অবিনাশের গলায়। সৈকতের ছেলের জন্মদিনের পার্টিতে মৃণালিনীকে জীবন্ত দ্রৌপদি হিসাবে চিনতে পেরে চমকে যায় অবিনাশ। আঁতকে ওঠে সে।
প্রেমিকার কাছে জানান দেয় তাঁর টেনশন। ভয় পেতে থাকে, এবার মৃণালিনীর পালা। প্রেমিকার পরামর্শে মৃণালিনীর সম্মতিতে ওকে কিডনেপ করে রাখে, ওকে বাঁচানোর জন্য। মাত্র ৭২ ঘণ্টা রাখতে পারলেই নিশ্চিন্ত।
কিন্তু আবারও সেই একই ঘটনা! এবার খুন হয় মৃণালিনী। পুলিশের জালে ফেঁসে যায় অবিনাশ। তারপর ঠিক ঘটে, তা জানা যাবে 'শব চরিত্র' ওয়েব সিরিজে।