জল্পনাই সত্যি হল! প্রায় দীর্ঘ ১১ বছর পর প্রযোজনা সংস্থা এসফিএফ (SVF)-এর ঘরে ফিরছেন টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly)। তবে এবার বড় পর্দা না, তিনি পা রাখছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। দেবালয় ভট্টাচার্যর (Debaloy Bhattacharya) পরিচালনায় আসছে হইচই- এর নতুন ওয়েব (Hoichoi New Web Series) সিরিজ 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' (Indubala Bhaater Hotel)। যেখানে মুখ্য চরিত্র 'ইন্দুবালা'-র ভূমিকায় দেখা যাবে রাজ ঘরণীকে। অগাস্টের শেষ থেকে শুরু হবে শ্যুটিং।
খুলনার পূর্ব পাকিস্তানের কল্পোতা গ্রামের এক তরুণী ইন্দুকে কেন্দ্র করেই গাঁথা হয়েছে নতুন এই সিরিজের গল্প। কলকাতায় এমন একজনের সঙ্গে ইন্দুর বিয়ে হয়, যে সব সময় মদ্যপ অবস্থাতেই থাকে। নিয়তির লিখনে খুব কম বয়সেই সে বিধবা হয়। এদিকে সঙ্গে রয়েছে কোলের সন্তান। পূর্ব পাকিস্তান যেদিন বাংলাদেশ হয়, সেদিন তার জীবনের গল্প নয়া মোড় নেয়। অল্প বিস্তর যা সঞ্চয় ছিল, তা দিয়ে এক বিহারী মৎস্যজীবী-লছমির সহায়তায় ইন্দু শুরু করে 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল'।
দুই বঙ্গের (ভারত - পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ) সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায় ইন্দুবালার হোটেলে। এই শহরে একজন মহিলার জার্নির গল্প বলবে এই নতুন সিরিজ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্দুবালার হোটেলের নাম -খ্যাতি আর ছড়িয়ে পড়ে। খাবারের মাধ্যমে, এখানে হাজির প্রতিটি বাঙালির সীমানা পেরিয়ে তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষায়, ইন্দুবালার ভাটার হোটেলে বেঁচে থাকে।
শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় জানান, "প্রথমত আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত যে শেষমেশ আমি ওটিটি-তে ডেবিউ করতে পেরেছি এবং সেটাও হইচই-এর মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। এটি নিঃসন্দেহে বাংলার একটি শীর্ষস্থানীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে আমার চরিত্রের অনেকগুলো স্তর রয়েছে। যার ফলে চ্যালেঞ্জও অনেক বেশি। এজন্যেই আমার মনে হয়েছে ডেবিউ করার জন্য এই সিরিজটিই শ্রেষ্ঠ।
নায়িকা আরও যোগ করেন, "ইন্দুবালা জটিল, অনুপ্রেরণামূলক এবং শক্তিশালী একটা চরিত্র। সত্যি বলতে আমি কিছুটা নার্ভাস এবং একই সঙ্গে দারুণ উৎসাহিত। এছাড়াও, আমি দীর্ঘদিন ধরে দেবলয় ভট্টাচার্যের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম। এই সিরিজের মধ্যমে সেই সুযোগ এসেছে। আমি নিশ্চিত যে গোটা টিম কঠোর পরিশ্রম করবে, 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল' সফল করতে।"