পাকিস্তানের এক হাড় হীম করা সাইকো কিলারের কাহিনি অবলম্বনে তৈরি ‘জাভেদ ইকবাল: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ এ সিরিয়াল কিলার’ ছবিটি বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। যদিও পাকিস্তানে এখনও মুক্তি পায়নি এই ছবিটি।
এর আগে ২৫ জানুয়ারি করাচিতে ছবিটির প্রিমিয়ার হয়েছিল। এরপর পাকিস্তানের পঞ্জাব সরকার প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি নিষিদ্ধ করে। এখন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জায়গা পাওয়ার পর, পরিচালক আবু আলিহা ছবিটি ওটিটিতে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আপনি অবশ্যই অনেক সিরিয়াল কিলারের গল্প শুনেছেন, তবে জাভেদ ইকবালের গল্প আপনাকে হতাশ করবে। এই সিরিয়াল কিলার একটি বা দুটি নয়, ১০০ শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। ছবি: এএফপি।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এই ভয়ংকর খুনি ১০০ শিশুকে হত্যা করার শপথ নিয়েছিল। ১০০ শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর খুনি নিজেই আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু কেন ভয়ানক অপরাধ করল জাভেদ? ছবি: এএফপি।
২০ বছর বয়সে, জাভেদকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছিল এবং ধর্ষণের অভিযোগে জেলে পাঠানো হয়েছিল। যদিও প্রকৃতপক্ষে সে সময় জাভেদ তেমন কিছুই করেননি। এ সময় তার মা তাকে জেলে দেখতে যেতেন। কিন্তু ছেলের মুক্তির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে একদিন জাভেদের মা-ও মারা যান। —প্রতীকী ছবি।
এরপর জাভেদ শপথ করেন যে তার মা যেভাবে কাঁদতে কাঁদতে প্রাণ হারিয়েছেন, সেভাবেই অন্তত ১০০ শিশুর মাকে কাঁদাবেন তিনি। এর পরই শুরু হয় তার নারকীয় হত্যাকাণ্ড। —প্রতীকী ছবি।
পুলিশি জেরায় জাভেদ বলেছিল যে, তিনি বাচ্চাদের ভুলিয়ে বা জোর করে লাহোরের শাদবাগে তার বাড়িতে নিয়ে যেত। বাড়িটি ছিল নির্জন এলাকায়। প্রথমে জাভেদ শিশুদের ধর্ষণ করত, পরে লোহার শিকল দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করত। —প্রতীকী ছবি।
শিশুদের হত্যার পর লাশ ছোট ছোট টুকরো টুকরো করে অ্যাসিড ঢেলে লাশের টুকরোগুলোকে গলিয়ে ফেলত। এরপরও কোনো দেহাংশ অবশিষ্ট থাকলে সেটা নিয়ে নদীতে ফেলে দিত জাভেদ। এই জঘন্য অপরাধের জন্য জাভেদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল। ছবি: রয়টার্স।