সঙ্গীত শিল্পী আদনান সামির 'লিফ্ট করা দে', 'ভিগি-ভিগি রাত মে'-র মতো হিট গান নিশ্চয় সবাই শুনেছেন। আদনান সামি একজন সফল সঙ্গীতশিল্পী এবং গায়ক। অনেক সময় ওজন বেড়ে যাওয়ায় ট্রোলডও হয়েছেন তিনি। শিকার হয়েছেন বডি শেমিংয়েরও। কয়েক বছর আগে আদনানের ওজন ছিল প্রায় ২২০ কেজি। কিন্তু এখন তাঁর ওজন মাত্র ৭৫ কেজি। তাঁর এই আশ্চর্যজনক পরিবর্তনের পিছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম, সঠিক ডায়েট এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা। কিন্তু কীভাবে নিজেকে বদলে ফেললেন আদনান?
২০০৫ সালে হঠাৎ করেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে উধাও হয়ে যান আদনান। বেশকিছু সময় পয় যখন তিনি আবারও প্রকাশ্যে আসেন তখন দেখা যায় তিনি একজন মেদহীন মানুষ। কার্যত তাঁকে চেনাই যাচ্ছিল না।
২০০৫ সালে লিম্ফেডেমার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল আদনানের। ৩ মাস বিছানায় ছিলেন তিনি। যার জেরে তাঁর স্থূলতা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে পেশীর নিচের চর্বি ফুসফুসে পৌঁছে গিয়েছিল এবং তাঁর শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল। ডাক্তার তাঁকে সতর্ক করেন যে ওজন না কমালে তিনি ৬ মাসের বেশি বাঁচবেন না। এর পরেই পরিবার এবং বন্ধুদের সহায়তায় হিউস্টনে (টেক্সাস) একজন পুষ্টিবিদের অধীনে তাঁর ওজন কমানোর যাত্রা শুরু হয়। মাত্র ১৬ মাসে প্রায় ১৫০-১৫৫ কেজি ওজন কমাতে সক্ষম হন তিনি।
আদনানের ডায়েট
আদনান সামির ডায়েটে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়। তাঁকে কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়ানো হয়। খাদ্যতালিকায় ভাত, রুটি এবং অস্বাস্থ্যকর জাঙ্ক ফুড রাখা হয়নি। তাঁকে শুধুই স্যালাড, মাছ ও সিদ্ধ মসুর ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দিনের শুরুতে চিনি ছাড়া চা। সকালে পপকর্ন। দুপুরে স্যালাড ও মাছ। রাতের খাবারে সিদ্ধ মসুর ডাল বা মুরগির মাংস। তিনি শুধুমাত্র সুপার-ফ্রি পানীয় পান করতেন।
আদনান সামির ওজন এতটাই বেশি ছিল যে, তিনি পা বাঁকাও করতে পারতেন না। যখন তিনি ৪০ কেজি ওজন কমান, তখন তাঁকে ট্রেডমিলে হাঁটা এবং হালকা ব্যায়াম করানো হয়। ভারতে তাঁর প্রশিক্ষক ছিলেন প্রশান্ত সাওয়ান্ত। প্রশান্ত তাঁকে সপ্তাহে ৬ দিন স্ট্রেন্থ ট্রেনিং এবং কার্ডিও অনুশীলন করিয়েছিলেন। তাতে প্রতি মাসে প্রায় ১০ কেজি ওজন কমান আদনান। বর্তমানে তাঁর ওজন ৭৫ কেজি।
আরও পড়ুন - রাষ্ট্রপতি ভোট: মনোনয়ন যশবন্তের, উপস্থিত রাহুল-অভিষেক-পাওয়ার-ইয়েচুরি