রোজ রাতে জোর করে সম্পর্কে লিপ্ত হত স্বামী। পড়াশোনা করতে দেওয়া হত না। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিশতেও দিত না তারা। বারণ করলেও রোজ রাতে বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন (Azmeri Haque Badhon)। আর তাঁর এই মন্তব্য সামনে আসার পর তোলপাড় বিনোদন জগতে।
বাঁধন বাংলাদেশের নায়িকা হলেও পশ্চিমবঙ্গেও তিনি বেশ জনপ্রিয়। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ সিরিজে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছেন তিনি। আবার ডেবিউ করেছেন বলিউডেও। ‘খুফিয়া’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশের একাধিক সিলিয়াল ও বাংলা ছবিতেও তাঁকে দেখেছে দর্শক।
আরও পড়ুন : 'দাবি মতো রাজ্যের পক্ষে ডিএ দেওয়া অসম্ভব', তাহলে কি মহার্ঘ ভাতা পাবেন না সরকারি কর্মীরা?
সিনে জগতের সেই বাঁধনের জীবনেও যে এমন অন্ধকার দিক ছিল, তাঁকে অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে এমনটা ভেবেই অবাক তাঁর ফ্যানেরা। এতদিন পর্যন্ত বাঁধনের এমন কষ্টের কথা কেউ জানতেন না। তবে সম্প্রতি ‘খুফিয়া’ছবির জন্য একটি সাক্ষাৎকারে অতীত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।
কী জানান বাঁধন ?
বাঁধন জানান, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিত হয়েছেন তিনি। বিয়ের পর তাঁর স্বামী জোর করে শারীরিক সম্পর্কের চেষ্টা করতেন। তাঁর আরও সংযোজন, 'আমার প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির লোকজন পড়াশোনা করতে দিত না। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দিত না। ভেবেছিলাম, এই ভাবেই হয়তো থাকতে হয়। অনেকে সেই সময় বলেছিলেন, বাচ্চা নিয়ে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে তখন কাউকেই বোঝাতে পারিনি যে, আমি বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার।’
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বিয়ে হয় বাঁধনের। বাংলাদেশের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। অভিযোগ, তারপর থেকেই তিনি গার্হস্থ হিংসার শিকার হতে থাকেন। এরপর ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় তাঁদের।