Noble Marriage: নোবেল কারগারেই আরও একটি বিয়ে করলেন, ইনিই ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন
Singer Noble News : গত ২০মে থেকে সংশোধনাগারে গায়ক নোবেল। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে অপহরণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ। বুধবার (১৮ জুন) বাংলাদেশের আদালত নির্দেশ দেয়, অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করতে পারবেন তিনি তাঁকে।
সংবাদের শিরোনামে থাকেন মইনুল আহসান নোবেল। ফের বিয়ে করলেন গায়ক। এবার আদালতের নির্দেশ মেনে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার সেই অভিযোগকারিণীর সঙ্গেই কারাগারের প্রধান ফটকে বিয়ে সারলেন তিনি। নোবেল ও সেই মহিলা ছাড়াও দু'জনের পক্ষ থেকে চারজন সাক্ষী উপস্থিত ছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশের 'নোবেলম্যান' ওপার বাংলার পাশাপাশি, এবার বাংলাতেও দারুণ জনপ্রিয়। গানের রিয়্যালিটি শো 'সারেগামাপা'-এ অংশগ্রহণ করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন তিনি। তবে এরপর থেকেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রায়ই চর্চায় থাকেন শিল্পী। গত ২০মে থেকে সংশোধনাগারে গায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে অপহরণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ। বুধবার (১৮ জুন) বাংলাদেশের আদালত নির্দেশ দেয়, অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করতে পারবেন তিনি তাঁকে। এরপর থেকে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, নোবেলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার, গত বুধবার বিয়ের আদেশ দেন নোবেলকে। জানা যাচ্ছে ধর্ষণ মামলার অভিযোগকারিণী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অভিযুক্ত নোবেলের পক্ষ থেকে আদালতে লিখিতভাবে বিয়ে করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। দুই পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে বিয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়ে আদালত। এরপর বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে বিয়ে সম্পন্ন হয় জুটির।
আরও পড়ুন
সম্পর্ক, বিয়ে, বিচ্ছেদ, মাদক, বিতর্কিত মন্তব্য ইত্যাদি বহু কারণে নোবেল আলোচিত। নোবেলের গানের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন বহু শ্রোতা। মাস কয়েক আগেই তিনি নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। বলেছিলেন, সব ভুল শুধরে নেবেন। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা একেবারে উল্টো। গত মে মাসে, অপহরণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগে নোবলেকে গ্রেফতার করে স্থানীয় ডেমরা থানার পুলিশ।
নোবেলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন তাঁর পরিচিত এক মহিলা। যদিও গ্রেফতার হওয়ার পরই অভিযোগকারিণীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেন শিল্পী। সেসময় বিয়ে সংক্রান্ত কাবিননামা তিনি আদালতের সামনে মজুত করতে পারেননি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ডেমরা থানার পুলিশ আদালতকে লিখিত ভাবে জানিয়েছে, ২০১৮ সাল ফেসবুকের মাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে অভিযোগকারিণী পরিচয় হয়। সে সময় তিনি ঢাকার একটি কলেজের তৃতীয় বর্ষে পড়ুয়া ছিলেন। এরপর গত বছর ১২ নভেম্বর ডেমরা এলাকায় নোবেল নিজের স্টুডিও দেখানোর জন্য ডেকে নিয়ে যান তাঁকে। রাত ৮টার পর তিনি বেরিয়ে যেতে চাইলে, তাঁর মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন শিল্পী এবং পরে তা ভেঙেও ফেলেন।
নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এরপর ধর্ষণ করে সেই ভিডিও রেকর্ডিং করে, সেটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পর সাত মাস ওই মহিলাকে জোর করে নিজের কাছে আটকে রাখেন বলেও অভিযোগ। নির্যাতনের সেই ভিডিওটি তত দিনে ভাইরাল হয়ে যায়। পরে নির্যাতিতার বাবা-মা গিয়ে মেয়েকে নোবেলের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন। গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়।
বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, নোবেলের আইনজীবী জসীমউদ্দিন জানিয়েছেন, বুধবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযোগকারিণীও। অভিযুক্ত নোবেলের পক্ষ থেকে আদালতে লিখিত ভাবে বিয়ে করার অনুমতি চাওয়া হয়। উভয় পক্ষের সম্মতিতেই বিয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) নাজমিন আখতার অভিযোগকারিণীকে বিয়ে করার নির্দেশ দেন নোবেলকে।
প্রসঙ্গত, এর আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলাদেশে বয়কটের ডাক দিয়ে বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন নোবেল। এছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় ত্রিপুরা পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। শিল্পী নিজে না মানলেও, শোনা যায় তিনবার বিয়ে করেছেন তিনি। বহু অশান্তি- ঝামেলার পর তৃতীয় স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তাঁর। সালসাবিল নোবেলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেন।