Arijit-Ed Sheeran: জিয়াগঞ্জে অরিজিৎ-এড শিরানের সুহানা সফর, কীভাবে হল এই বন্ধুত্ব?

স্যাফায়ার গানের জন্য এড শিরান ভারতে এসেছিলেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে তিনি এই মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন। তাঁর এই ভিডিওতে উঠে এসেছে অরিজিৎ-এর জিয়াগঞ্জের এক টুকরো ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় গায়ক অরিজিৎ-এর জন্য আবেগঘন চিঠি লিখলেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, ‘আশিকি ২’-এই মজে গিয়েছিলেন এড শিরান। তুম হি হো শুনেই অরিজিৎকে মন দিয়ে ফেলেছিলেন এই রকস্টার। তারপর গায়কের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও তারপরই এই সাফায়ার গান। এড শিরান তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় অরিজিতের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লেখেন, 'আশিকি ২ দেখার পর ও তুম হি শোনার পর আমি অরিজিৎ সিং-এর গান সম্পর্কে জানতে পারি। অরিজিৎ-এর কন্ঠ মুগ্ধ করে আমাকে। এরপর আমি ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি, দেখা করি এবং ওঁর সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করি। লন্ডনে অরিজিতের কনসার্টে আমি যাই আর অতিথি হয়েও সেই মঞ্চে আমরা একসঙ্গে পারফেক্ট গানটি গাই, দারুণ শো ছিল ওটা। 

এড শিরান আরও জানান সে দিনই ড্রেসিংরুমে অরিজৎকে ‘সাফায়ার’-এর প্রাথমিক অংশ়টি শোনান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রানুষঙ্গ এবং সুর নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন অরিজিৎ। এড লিখেছেন, তার পর ইমেলে আমরা এ নিয়ে কথা বলতে শুরু করলাম, যত দিন না আমি ভারতে পৌঁছাই। এডের স্মৃতিচারণে উঠে এসেছে ভারত সফরের রোজনামচাও। এড চেয়েছিলেন নিজে এসে সবটা করতে। তিনি লিখেছেন, অরিজিৎ বলল, আমার শহরে এসো, তোমাকে আমার বাড়ি, আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব। আমরা একসঙ্গে কলকাতায় উড়ে গেলাম, তার পর সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে পৌঁছলাম অরিজিতের বাড়ি। গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণ করলাম— অদ্ভুত অভিজ্ঞতা— তার পর ওঁর স্কুটি চড়েই স্টুডিয়ো পৌঁছোলাম, গানটা শেষ করলাম। 

এডের দাবি, তিনি অরিজিতের থেকে পঞ্জাবি ভাষার সঠিক উচ্চারণ ও সেতার বাজানো শিখে নিয়েছেন। এড শিরিনের সাফায়ার-এর সঙ্গী ছিলেন অরিজিতের বাবাও। ব্রিটিশ গায়ক জানিয়েছেন যে রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে তাঁরা গোটা গ্রাম ঘুরে বেড়িয়েছেন অরিজিতের স্কুটিতে চেপে। অরিজিতের বাবার সঙ্গে দেখেছেন সূর্যান্ত ও রাতের চাঁদ, সঙ্গে অরিজিৎ বাড়তি পাওনা। সেরা প্রতিভাবানদের মধ্যে একজন অরিজিৎ, জানিয়েছেন এড। পাশাপাশি জানিয়েছেন, ‘সাফায়ার’-এর একটি পঞ্জাবি সংস্করণও প্রকাশ পাবে আগামী কয়েক সপ্তাহে।

বছরের শুরুতেই মূর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে দেখা গিয়েছিল অরিজিৎ ও ব্রিটিশ গায়ক-গীতিকার এড শিরানকে। অরিজিতের স্কুটিতে সওয়ার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ব্রিটিশ গায়ক। সেই সময়ই বোঝা গিয়েছিল যে কিছু একটা ঘটতে চলেছে তাঁদের মধ্যে। তার কিছুমাস পরই সাফায়ার মুক্তি পায়।