বৃহস্পতিবার রাজকীয়ভাবে দ্বিতীয় বিয়ে সারলেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। পাত্রী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা ঐন্দ্রিলা সেন ওরফে মোহর। টিনসেল টাউনের একাধিক তারকার সমাবেশে বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে সারেন ঐন্দ্রিলা-দুর্নিবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। একদিকে যখন দুর্নিবার ও ঐন্দ্রিলাকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেটিজেনের একাংশ তেমনি বাকি নেটিজেনের চিন্তা বিয়ের সময় ঠিক কেমন মনের অবস্থা ছিল দুর্নিবারের প্রাক্তন স্ত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। নেটিজেনদের চিন্তা দুর্নিবারের বিয়ের দিন তিনি কী করছিলেন।
দুর্নিবার-মীনাক্ষীর মাঝে আসেন মোহর
২০১৭ সালে আইনি মতে বিয়ে করেন দুর্নিবার-মীনাক্ষী। এরপর তাঁরা একসঙ্গেই থাকতেন। ২০২১ সালে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন। সেই বিয়েও ছিল যথেষ্ট রাজকীয়। কিন্তু বিয়ের একবছরের মাথাতেই একে-অপরের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরে। সেই সময় নাকি দুর্নিবার ও মীনাক্ষীর মাঝে ঐন্দ্রিলা চলে এসেছিলেন। তাই সম্পর্ক ভাঙে দুর্নিবার-মীনাক্ষীর। ২০২২ এর মাঝামাঝি আলাদা হয়ে যান মীনাক্ষী, দুর্নিবার। এরপর ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সম্পর্ককে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন দুর্নিবার।
মীনাক্ষী কী করছিলেন দুর্নিবারের বিয়ের সময়
মোহর-দুর্নিবারের বিয়ের কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন মীনাক্ষী। সেখানে লেখা ছিল, 'আপনার উচিত আপনার জীবনের রণবীর কাপুরকে যেতে দেওয়া। এবং রণবীর সিংকে আসতে দেওয়া। … এই পোস্ট নিয়ে আপনাদের সব অনুমান সঠিক।’ এটা যে মীনাক্ষী দুর্নিবারকে কটাক্ষ করেই লিখেছিলেন সেটা বুঝতে কারোও বাকি ছিল না। দুর্নিবারের বিয়ের আগের দিন একটি পোস্ট করেছিলেন মীনাক্ষী সোশ্যালে। তবে সেখানে প্রাক্তনের কোনও উল্লেখ নেই। নীলাঞ্জন ঘোষ ও কিঞ্জল চট্টোপাধ্যায়ের তবলা বাজানোর একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। এটাই ছিল শেষ পোস্ট। না আর কোনও পোস্ট মীনাক্ষী করেননি। তবে কি দুর্নিবারেব দ্বিতীয় বিয়ের দিন মন খারাপ করেছিলেন? মীনাক্ষীর ইনস্টাগ্রামে ঢুঁ মারলে এখনও দুর্নিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবি পাওয়া যায়। সেগুলি মীনাক্ষী রেখে দিয়েছেন সযত্নে।
আরও পড়ুন: Durnibar- Oindrila Marriage: শুরু বিয়ের কাউন্টডাউন, দুর্নিবারকে খোলা 'প্রেমপত্র' ঐন্দ্রিলার
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে প্রসেনজিৎকে
দুর্নিবার-ঐন্দ্রিলার বিয়েতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কনের হাত ধরে মণ্ডপে নিয়ে আসা থেকে পিঁড়ি ধরা, অতিথি অ্যাপায়ন সবেতেই প্রত্যক্ষ ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে। ছিলেন প্রসেনজিতের ছেলে তৃষাণজিৎ ওরফে মিশুকও। বিয়েবাড়িতে আসা সব অতিথিদের আপ্যায়ন করেন বাবা-ছেলে। তবে এ নিয়ে তিনবার বিয়ের মণ্ডপে বসা প্রসেনজিৎকেও কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে।
দুর্নিবারের জবাব নেটিজেনদের
দ্বিতীয়বার বিয়ে করার জন্য ট্রোল হতে হয়েছে গায়ক দুর্নিবারকেও। তবে সেটা বিয়ের অনেক আগে থেকেই। যদিও নিন্দুকদের মোক্ষম জবাব দিলেন দুর্নিবার নিজেই। ফেসবুকের কভার পেজে বিয়ের পর স্ত্রী মোহরকে কাছে টেনে নিয়ে, তাঁর গালে ঠোঁট রেখেছেন, সেই ছবি দিয়েছেন। সেই মুহূর্তটি লেন্সবন্দি করে ফেসবুকের দেওয়ালে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘যখন আমরা আলোর রোশনাইয়ে সাজাব, তখন কিছু লোকজন বোকার মতো কিছু মন্তব্য করবেন।’