
আলোচনায় থাকেন ইমন চক্রবর্তী। রিয়্যালিটি শো 'সারেগামাপা' থেকে শুরু করে রক্তদান, সব কিছুতেই ট্রোলিংয়ের স্বীকার তিনি। এর আগেও রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার ধরন থেকে শাখা-পলা না পরা, কোনও কিছুই বাদ যায়নি ট্রোলিংয়ের তালিকা থেকে। শিল্পী মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছেন বহুবার। কিন্তু তবুও হার মানেনি। আর এই কথা নিজেই বহুবার সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বহুবার জানান দিয়েছেন ইমন।
বিভিন্ন সময় কটাক্ষের মুখে পড়েছেন তিনি। তা সত্ত্বেও এসবের পরোয়া না করেই এগিয়ে যান। ফের শিরোনামে শিল্পী। তবে এবার ট্রোলিং নয়। এবার রটেছে অন্য কথা। টলিপাড়ায় চর্চা, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নাকি প্রার্থী হবেন ইমন। এমনকী তাঁর কাছে নাকি ইতিমধ্যেই প্রস্তাব গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহের তিনি। একথা প্রায় সকলেরই জানা। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজোয় স্বামী নীলাঞ্জন ঘোষের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তিনি। আর সেখান থেকেই জল্পনার সূত্রপাত!
তাহলে কি এবার সরাসরি রাজনীতির ময়দানে পা রাখছেন? সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের মনখোলা উত্তর দেন গায়িকা। ইমন বলেন, "দিদির বাড়িতে আমি কালীপুজোর দিনও গিয়েছিলাম। তিনি যে আমাদের কী যত্ন করেছেন, সেটা আমাদের কাছে অকল্পনীয়। আমি কাকু আর আমার বর আমরা তিনজনে মিলে গিয়েছিলাম। ওঁর ঘরে আমরা গিয়েছি, ওঁর বেডরুম আমাকে দেখিয়েছে। ওঁর মা কোন ঘরে থাকতেন সবটা দেখিয়েছেন। নিজে হাতে করে খাবার এনে দিয়েছেন। আমাকে দুটো শাড়ি দিয়েছেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, উনি আমাকে ভোটে দাঁড়াতে বলবেন।"
শিল্পী আরও বলেন, "আমার গান দিদি ভীষণ পছন্দ করেন। সব সময় সেকথা বলেন। আমার মনে হয় যে উনি আমার গানের গুনমুগ্ধ শ্রোতা, আমার অন্যান্য শ্রোতাদের মতোই। আর সেই ভালোবাসাটা যেন সব সময় পাই। আমার কাছে যদি কখনও প্রস্তাব আসে, তাহলে আমি নিশ্চয়ই সেটা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলব, আলোচনা করব, ভাববো, দেখব। কিন্তু এখন কিচ্ছু আসেনি।"
প্রসঙ্গত, ট্রোলিং বা নিন্দুকদের পাত্তা দিতে নারাজ ইমন। উল্টে 'কেয়ার নট অ্যাটিটিউট' রেখে পজিটিভ থাকেন গায়িকা। কাজের পাশাপাশি যোগ ব্যায়াম, সাইক্লিং ইত্যাদি শরীরচর্চার মাধ্যমে নিজেকে পজিটিভ রাখার চেষ্টা করেন শিল্পী।