
"বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নাই গো বুবু ভাজা বাদাম...." এই গান বা গানের স্রষ্টা ভুবন বাদ্যকরকে চেনেন না এরকম মানুষ বর্তমানে বোধ হয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। পশ্চিমবাংলা তো বটেই, এমনকী দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও তাঁর খ্যাতি। দীর্ঘদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিংয়ে ১ নম্বরে ছিল তাঁর তৈরি 'কাঁচা বাদাম' গানটি। বছর চারেক আগে 'কাঁচা বাদাম' জ্বরে কাবু ছিল নেটপাড়া। এবার সেই 'কাঁচা বাদাম'-র নতুন ভার্সন এনেছেন ভুবন, যা ফের ভাইরাল।
বীরভূমের 'বাদামকাকু'-র গানে বুঁদ ছিল টলি থেকে বলিপাড়াও। এমনকী এই গান ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের বাইরেও। ট্রেন্ড থেকে বাদ যাননি বাংলার জনপ্রিয় টেলি তারকারাও। 'সুপার ভাইরাল গান 'কাঁচা বাদাম'-র ইনস্টা রিলস তৈরি হয়েছিল। যার বেশিরভাগটাই ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছিল নেট দুনিয়ায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুবন বাদ্যকারের আরও একটি গান ভাইরাল হয়েছে। 'কাঁচা বাদাম'-র নতুন ভার্সন গাইছেন তিনি। নিজের গ্রামে বাইকে চেপে ঘুরতে ঘুরতে সকলকে সেই গান শোনাচ্ছেন শিল্পী। ভুবনের সোশ্যাল পেজে সেই ভিডিওটি শেয়ার হতেই তা ফের ভাইরাল হয়। দারুণ খুশি তাঁর অনুগামীরা। অনেকেই দীর্ঘ দিন অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর এই গানের। এবার দেখার, পুরনো ভার্সনের জনপ্রিয়তা কি ছাড়িয়ে যেতে পারে নতুন ভার্সন?
প্রসঙ্গত, 'বাদামকাকু'-র নাম ভুবন বাদ্যকর। পেশায় বাদাম বিক্রেতা ছিলেন। বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। স্ত্রী, দুই ছেলে, বউমা ও মেয়েকে নিয়ে বসবা শুরুতে ভাইরাল হয়ে ভুবনবাবু বেশ উচ্ছ্বাসিত হয়ে আজতক বাংলাকে বলেছিলেন, "মোবাইলে আমার গান দেখছে সবাই। দেখা হলেই সবাই এসে প্রশংসা করে যাচ্ছে। ভালই লাগছে। গানটি আমিই লিখেছি। আমারই তৈরি। আমারই সুর, আমারই গলা। বাদাম বিক্রি করতেই এই গান তৈরি করেছি। এই গানের জন্য বহু মানুষই বাদাম কিনতে আসছেন। কেউ ৫ টাকার টাকার বাদাম কিনছেন, কেউ ১০ টাকার। বিক্রিবাটা ভালই চলছে।"
ছোট ঝুপড়িতে থাকা সেই ভুবন এখন পাকা বাড়ির মালিক। তবে এখন আর বাদাম বেচেন না ভুবন বাদ্যকর। এখন তিনি গানকেই পেশা করে নিয়েছেন। তবে প্রথম গানটি থেকে কোনও রয়্যালটি তিনি পাননি। অনেকে তাঁকে বড় বড় স্বপ্ন দেখিয়ে, গান রেকর্ড করিয়ে কনট্র্যাক্টও সাইন করান। ফলে তাঁর হাত থেকে 'কাঁচা বাদাম' গানের কপিরাইট চলে গিয়েছে। ফলে ইউটিউবে এই গানের ৫০০ মিলিয়ন ভিউস সত্ত্বেও সেটির আর্থিক ফায়দা পাচ্ছেন না ভুবন।