চলতি বছরেই দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন রূপাঞ্জনা মিত্র। পাত্র দীর্ঘদিনের লিভ-ইন পার্টনার রাতুল মুখোপাধ্যায়। ছেলে রিয়ান ও স্বামী রাতুলকে নিয়ে রূপাঞ্জনার নতুন সংসার বেশ জমজমাট। সম্প্রতি অভিনেত্রীর শ্বশুর-শাশুড়ির ৪০তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন ছিল। তবে সেখানে থাকতে পারেনি বউমা রূপাঞ্জনা। ফলে ছেলে ও নাতিকে নিয়েই এই বিশেষ দিনটি পালন করলেন রূপাঞ্জনার শ্বশুর-শাশুড়ি। যেখানে নাতি রিয়ানকে দেখা গেল দাদু-ঠাকুমাকে আশীর্বাদ করতে।
রবিবার রাতুল তাঁর মা-বাবার ৪০ বছরের বিয়ে উদযাপনের জন্য শহরের এক রেস্তোরাঁতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল ছেলে রিয়ান। রিয়ান রূপাঞ্জনার প্রথম পক্ষের বিয়ের সন্তান হলেও রাতুলের মা-বাবার সঙ্গে তার বন্ডিং দারুণ। আর সেটাই নজরে পড়ল এইদিনই। এদিন রাতুল একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে রিয়ান তার দাদু-ঠাকুমাকে ধান-দুর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করছে। পায়েসও খাইয়ে দিতে দেখা গেল তাঁদের। ক্যাপশনে লিখলেন, ‘হাসি, ভালোবাসায় মোড়া একসঙ্গে পথ চলার ৪০ বছর পূরণ। মা-বাবার দারুণ সফর উদযাপনের জন্য রিয়ান আর আমি একসঙ্গে সারপ্রাইজ প্ল্যান করতে গিয়ে ভীষণ মজা পেয়েছি।
অপরদিকে বিবাহ বার্ষিকীর ছবি পোস্ট করে রূপাঞ্জনাও লেখেন, আমার দারুণ শ্বশুর-শাশুড়িকে বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা। আমি এইদিন দুপুরের মধ্যাহ্নভোজে মিস করলেও আমি কৃতজ্ঞ আমার স্বামীর কাছে যে এই সুন্দর মুহূর্তের ছবিগুলো শেয়ার করেছে। রিয়ানকে তার দাদু-ঠাকুমার সঙ্গে এত ভাল বন্ডিং দেখে কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এদিন এক সংবাদমাধ্যমকে রাতুলের মা নিবেদিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে নাতি রিয়ান তাঁদের আশীর্বাদ করেছে, শিশুদের মধ্যেই তো ঈশ্বর থাকে। মনে হল ঈশ্বরই তাঁদের আশীর্বাদ করছেন।
প্রসঙ্গত, এই বছরের ১৯ এপ্রিল সাতপাকে বাঁধা পড়েন রাতুল-রূপাঞ্জনা। একেবারে বাঙালি রীতি মেনেই রাতুল-রূপাঞ্জনা বিয়ে করেন। তার আগে অবশ্য তাঁরা লিভ-ইন করতেন। গত বছর পাহাড়ে গিয়ে ছেলে রিয়ানকে সাক্ষী রেখে আংটি বদল করেছিলেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। বয়সে বেশ ছোট রাতুলকে বিয়ে করা নিয়ে কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে। কিন্তু এইসব কিছুকে পাত্তা না দিয়ে রূপাঞ্জনা একেবারে নিজের মতো করেই জীবনকে গুছিয়ে নিয়েছেন। এর আগে ভিনধর্মে বিয়ে করেছিলেন রূপাঞ্জনা। কিন্তু সেই বিয়ে সুখের হয়নি। একা হাতেই রিয়ানকে মানুষ করেছেন। তারপরই অভিনেত্রীর জীবনে এসেছেন রাতুল।