Advertisement

Sudipa Chatterjee: বহু বছরের প্রথা ভাঙল সুদীপার বাড়িতে, রথের দিন হল না এই কাজ

Sudipa Chatterjee: প্রতিবছরই নিয়ম মেনে রথযাত্রার দিনই সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে দুর্গার কাঠামো পুজো হয়ে থাকে। গত বছরও সেই নিয়ম পালন করা হয়েছে নিয়ম মেনেই। কিন্তু এই বছর বেজায় মন খারাপ রান্নাঘর-এর প্রাক্তন সঞ্চালিকার।

সুদীপা চট্টোপাধ্যায়সুদীপা চট্টোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 28 Jun 2025,
  • अपडेटेड 2:25 PM IST
  • প্রতিবছরই নিয়ম মেনে রথযাত্রার দিনই সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে দুর্গার কাঠামো পুজো হয়ে থাকে।

প্রতিবছরই নিয়ম মেনে রথযাত্রার দিনই সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে দুর্গার কাঠামো পুজো হয়ে থাকে। গত বছরও সেই নিয়ম পালন করা হয়েছে নিয়ম মেনেই। কিন্তু এই বছর বেজায় মন খারাপ রান্নাঘর-এর প্রাক্তন সঞ্চালিকার। কারণ এই বছর রথের দিন তাঁর বাড়িতে কাঠামো পুজো হয়নি। করোনা কালের মতো এই বছরও একই জিনিস হল। কিন্তু কেন পিছিয়ে গেল কাঠামো পুজো?

এক সংবাদমাধ্য়মকে সুদাপা জানিয়েছেন যে কাঠামো পুজোর কাঠ তাঁর পছন্দ হয়নি। তাই এই বছর কাঠামো পুজো বাধ্য হয়েই পিছিয়ে দিতে হল সুদীপাকে। তিনি জানিয়েছেন, রথের দিন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের বড় ছেলে আকাশ গঙ্গাপুজো সেরে মাটি নিয়ে এসেছেন। এই মাটি দিয়েই উল্টোরথের দিন কাঠামোর গায়ে প্রথম মাটির প্রলেপ দেওয়া হবে। সুদীপা জানিয়েছেন যে ২০২০ সালে যখন করোনার সময় কাঠামো তৈরির শিল্পী পাননি তাঁরা। সেই সময় সুদীপা যোগাযোগ করেন পুরীর এক দ্বৈতাপতির সঙ্গে। তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন সুদীপাকে যে তাঁর মাধ্যমে ঈশ্বর কোনও নির্দেশ দিয়েছেন। ভাল কিছু হতে চলেছে। 

তবে কাঠামো পুজো না হলেও সুদীপার বাড়িতে জাঁক জমকের সঙ্গে রথযাত্রার পুজো হয়েছে। এমনিতে চট্টোপাধ্যায় পরিবারে সব পুজোই হয়ে থাকে। যার দায়িত্বে থাকেন সুদীপা নিজেই। হলুদ ছাড়া অন্নভোগ, মালপোয়া, তরকারি, ভাজা নিবেদন করা হয়েছে দেবতাকে। এদিন সুদীপা ও তাঁর পরিবার নিরামিষ পদ, জগন্নাথ দেবের ভোগ খেয়েছেন। অভিনেত্রী-সঞ্চালিকার বাড়ির রীতি মেনে রথের দিন জগন্নাথদেবকে ৫৬ ভোগের অন্যতম কণিকা ভোগ বা বিশেষ ভাবে বানানো মিষ্টি পোলাও নিবেদন করা করা হয়। 

জগন্নাথদেবের পুজোর পর কুমোরটুলিতে গিয়ে পুজোর বায়না দেওয়ার চল সুদীপার বাড়িতে বহু বছর ধরেই হয়ে আসছে। সুদীপা এর আগেও জানিয়েছিলেন যে জগন্নাথদেব পুরীর রথে আসীন হলেই বাড়ির বিগ্রহের কাছে অনুমতি নিয়ে তাঁরা কুমোরটুলির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু এই বছর পুরো প্রক্রিয়াটাই পিছিয়ে গেল। কারণ কাঠামো পছন্দ হয়নি সুদীপার। তবে সব নিয়মই পালন হবে তবে তা কয়েকদিন পরে। 

Advertisement

প্রসঙ্গত, চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা হলেন সুদীপা ও অগ্নিদেব। বাংলাদেশ থেকে এই পুজো চলে এসেছে এপার বাংলায়। গত ১২ বছর ধরে এউ বাড়িতেই মা পূজিত হন একেবারে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে।  ষষ্ঠী টু সপ্তমী সেখানে তারকাদের ভিড় লেগে থাকে। সুদীপার বাড়ির পুজোয় মাকে মাছ-মাংস ভোগ দেওয়া হয়। একেবারে বাড়ির মেয়ের মতোই চারটে দিন থাকেন উমা। পুজোতে সুদীপার ব্যস্ততা থাকে একেবারে তুঙ্গে। ভোগ রান্না থেকে পুজোর আয়োজন সবটাই তিনি নিজের হাতে করে থাকেন। 

Read more!
Advertisement
Advertisement