Ritabhari Chakraborty: ঋতাভরীর কী দেখতে চাইলেন ফ্যান? রীতিমতো থতমত খেলেন নায়িকা

ঋতাভরীকে ওই ভক্ত ইনস্টাগ্রামে লেখেন, তোমার হাতের লেখা দেখাও আমাদের। এমন প্রশ্ন কারোর কাছ থেকে আসতে পারে তা আশা করেননি ঋতাভরী। তিনি সেই অনুরাগীকে বলেন, কারোর যদি মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছে হয় যে আমার হাতের লেখা দেখার, আমি তাও তাঁকে দেখাবো না। আমার হাতের লেখা খুবই জঘন্য। অভিনেত্রী এও বলেন, কেউ যদি আমায় গান পয়েন্টে রেখেও হাতের লেখা দেখতে চায়, তাহলে বলব আমায় মেরে ফেল কিন্তু আমার হাতের লেখা দেখতে চেও না। ঋতাভরীর কথা মতো, তাঁর হাতের লেখা এতটাই নাকি খারাপ যে তা কাউকে দেখানোর যোগ্য নয়। 

খুব ছোট বয়স থেকেই ঋতাভরী মডেলিং কেরিয়ারে নিজের নাম কামিয়ে নেন। এরপরই তাঁর কাছে ওগো বধু সুন্দরী ললিতা চরিত্রের প্রস্তাব আসে। সেই সময় অভিনেত্রী স্কুলে পড়েন। হরিয়ানা বিদ্যামন্দিরের এই ছাত্রীর জীবনে পড়াশোনা এবং অভিনয় ছোটবেলা থেকেই ছিল হাত ধরাধরি করে। ওগো বধূ সুন্দরী সিরিয়ালের দুবছর পর উচ্চমাধ্যমিক দেন ঋতাভরী। নিজের স্কুলে মেধাতালিকার শীর্ষে ছিলেন তিনি। এরপর কিছুদিন অভিনয় থেকে সরে এসে মন দিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ইতিহাস নিয়ে স্নাতক হন তিনি। এরপর লস অ্যাঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে অনলাইনে কোর্সও করেন। 

অভিনয় ও পড়াশোনা দুটোই একসঙ্গে চালিয়ে গিয়েছেন ঋতাভরী। অনুষ্কা শর্মা অভিনীত পরী সিনেমাতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পরমব্রতর বিপরীতে ডাক্তারের ভূমিকায় তাঁকে বেশ পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা। তারপরে শেষ থেকে শুরু, ফাটাফাটি ইত্যাদি অনেক হিট ছবিতেই দেখা মিলেছে ঋতাভরীর। তবে ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটিতে মহিলা পুরোহিতের ভূমিকায় বিশেষ নজর কেড়েছিলেন তিনি। শিবপ্রসাদ-নন্দিতা রায়ের বহুরূপী ছবিতে ঋতাভরীর চরিত্রটি সকলের নজর কেড়েছে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ঋতাভরী ও শতাব্দী রায়ের বাৎসরিক। দর্শকদের কাছে এই ছবি যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এই বছরের শেষের দিকে প্রেমিক সুমিত অরোরার সঙ্গে বিয়েও সারবেন ঋতাভরী।