প্রায় আড়াই বছর পর কেন্দ্রীয় চরিত্রে পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী পায়েল দে। কালার্স বাংলায় আসছে নতুন ধারাবাহিক 'সোনা রোদের গান'। এবার তিনি জুটি বাঁধবেন অভিনেতা ঋষি কৌশিকের সঙ্গে।
'সোনা রোদের গান'-র কাহিনি এবং চিত্রনাট্যে লিখছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর ছেলে অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রযোজনা সংস্থা অরগ্যানিক স্টুডিওর ব্যানারে আগামী বছরের শুরুতে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসেই শুরু হতে চলেছে এই ধারাবাহিক।
পায়েল ও ঋষি ছাড়াও ধারাবাহিকে দেখা যাবে সোহিনী সেনগুপ্ত, অনিন্দ্য সরকার, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় সহ টেলিপাড়ার একঝাঁক জনপ্রিয় অভিনেতাদের।
সকলের প্রিয় ডাঃ উজান এই ধারাবাহিকে ফের চিকিৎসকের ভূমিকায় অভিনয় করবেন। ঋষি কৌশিকের চরিত্রের নাম ডাঃ অনুভব। অন্যদিকে পায়েল অভিনয় করছেন আনন্দীর চরিত্রে।
অত্যন্ত লড়াকু এবং মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে আনন্দী, পরিবারের সকলের আদরের। সে চতুর, তবে 'স্ট্রিট-স্মার্ট' নয়। কিংবা বলা যায় বাইরের জগতের কঠোর বাস্তবের মুখোমুখি হয়নি সে আগে।
পারিবারিক অনেকটা দায়িত্বের বোঝা রয়েছে আনন্দীর কাঁধে। তবুও বাবা (ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়), মা (সোহিনী সেনগুপ্ত) এবং পরিবার দ্বারা সুরক্ষিত সে।
ব্যবসায়িক পরিবারের একজন মেধাবী এবং সফল ছেলে বিক্রমকে (সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়) বিয়ে করে একটি নতুন জীবন শুরু করতে চলেছে আনন্দী। বিয়ের পাকা কথার দিন পাত্র পক্ষের দামী গাড়ি চাওয়ার আবদারে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন সকলে।
দুশ্চিন্তায় বিয়ের ঠিক আগে তার বাবা হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরিস্থিতি একেবারে বদলে যায়। বাবার মৃত্যুশয্যায় ডাঃ অনুভবের সঙ্গে দেখা হয় আনন্দীর। আর ঠিক তারপরেই তার জীবন অনেকটা পাল্টে যায়।
বাবা মারা যাওয়ার পর, জীবনে একটি খারাপ মোড় আসে আনন্দীর। সকলে তাকে এর জন্য দায়ী করা শুরু করে। এদিকে গোটা পরিবার তার উপর নির্ভরশীল। বাবার ঋণে জর্জরিত ব্যবসার দায়িত্ব নিতে বাধ্য করা হয় তাকে। এই চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে সে?
এত প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও, সাহস এবং সততার সঙ্গে আনন্দী কীভাবে তার সংগ্রামকে জয় করে এবং পরিবারকে সুখী করে, তাই ফুটে উঠবে 'সোনা রোদের গান' ধারাবাহিকের গল্পে।
মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে নতুন এই ধারাবাহিকের প্রথম লুক ও টিজার। খুব শীঘ্রই সামনে আসবে ঋষি কৌশিকের লুক।
নতুন এই ধারাবাহিক প্রসঙ্গে পায়েলকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি জানান, "এই ধারাবাহিকে, আর পাঁচটা শাশুড়ি-বৌমার চিরাচরিত গল্প দেখা যাবে না। এই গল্পটা বেশ অনেকটা আলাদা। এখানে যে চরিত্রে আমি অভিনয় করছি, সে খুবই স্বাধীনচেতা এক মেয়ে। প্রায় আড়াই বছর পর কেন্দ্রীয় চরিত্রে পর্দায় ফিরছি, তাই খুবই উৎসাহিত। আশা করি এই চরিত্রেও দর্শকের অনেক ভালোবাসা পাবো।"