'ইন্ডিয়ান আইডল' ১৩ (Indian Idol 13) -র ট্রফি উঠেছে ঋষি সিংয়ের (Rishi Singh) হাতে। বিজয়ী হয়ে জন্মস্থান অযোধ্যায় পৌঁছে যান তিনি। নিজের শহরে দারুণ ভাবে স্বাগত জানানো হয় ঋষিকে। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশের গর্ব হিসাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) কাছ থেকেও অনেক শুভেচ্ছা পেয়েছেন তিনি। গানের এই রিয়্যালিটি শো (Music Reality Show) -এ তাঁর দীর্ঘ ৭ মাসের জার্নি কেমন ছিল? আজতক-এর সঙ্গে অকপটে শেয়ার করলেন শিল্পী।
'ইন্ডিয়ান আইডল'-র জার্নি প্রসঙ্গে ঋষি বলেন, "এই জার্নি ভাষায় বর্ণনা করা কঠিন। এই কয়েকদিনে আমি যা যা শিখেছি, আমার সারাজীবন কাজে লাগবে। যারা আমায় সমর্থন করেছেন, তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সম্ভবত তাদের আশীর্বাদের কারণেই আমি এই ট্রফি জিততে পেরেছি।"
আরও পড়ুন: সোহমের সঙ্গে আদুরে পোস্ট শোলাঙ্কির! গোপনীয়তা আলগা করছেন?
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ট্যুইট প্রসঙ্গে ঋষি বলেন, "ওঁর ট্যুইট দেখে আমি আনন্দিত। এটা আমার জন্য সত্যিই একটি বড় ব্যাপার। পরিবারের সদস্যরা বেশি খুশি। এটা আমার প্রাপ্তি। বর্তমানে আমি লখনউতে আছি, তাই চেষ্টা করব একবার গিয়ে ওঁর সঙ্গে দেখা করার।"
আরও পড়ুন: রামের পৈতে নেই -সীতার সিঁথিতে সিঁদুর কই? 'আদিপুরুষ'-র বিরুদ্ধে FIR
ঋষি আরও বলেন, "আমি খুবই ভাগ্যবান যে, আমার বাবা-মা সব সময় আমার সব স্বপ্নকে সমর্থন করেছেন। সব সময় আমাকে সাপোর্ট করতেন। আমি আজ যে জায়গায় আছি, সেটা ওঁদের জন্যই সম্ভব হয়েছে। আমি ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীত নিয়ে চর্চা করি। কিন্তু 'ইন্ডিয়ান আইডল'-র মঞ্চে আসার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল, আমি বা আমার প্রতিভা মানুষের কাছে যাতে পরিচিতি লাভ করে। এর আগেও 'ইন্ডিয়ান আইডল' সিজন ১১-তে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু অডিশন রাউন্ডেই আউট হয়ে যাই। খুব মন খারাপ হয়েছিল। ভাবতাম হয়তো এই কাজটা আমার জন্য নয়। যদিও আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম যে, যাই ঘটুক না কেন এই রিয়্যালিটি শোতে আমি অংশগ্রহণ করবই।"
আরও পড়ুন: 'ইন্ডিয়ান আইডল'-র ফিনালেতে স্থান পেলেও, ট্রফি অধরাই রইল বাংলার ৩ কন্যার ! মন খারাপ বাঙালির
'ইন্ডিয়ান আইডল' চলাকালীনই ঋষি জানতে পারেন যে, তিনি তাঁর বাবা- মায়ের দত্তক সন্তান। এই সত্যি সামনে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই তিনি হতবাক হয়েছেন। এবিষয়ে তিনি বলেন, "ওই সময় ঠিক কী অনুভূতি হচ্ছিল তা বলা খুবই কঠিন। সত্যিটা জেনে আমি খুব হতবাক হয়েছিলাম। কীভাবে রিঅ্যাক্ট করব বুঝতে পারিনি, অনেক কেঁদেছি। যদিও তখন অনেকে আমায় বুঝিয়ে বলেন যে, আমি কতটা ভাগ্যবান। আমার বাবা-মা আমার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছেন, আমি আজীবন তাঁদের কাছে ঋণী থাকব।"
আরও পড়ুন: বি-টাউনের জোড়া সুখবর! আসছে 'ব্রহ্মাস্ত্র' ও 'ওয়ার'-র পরের পার্ট, কবে?
'ইন্ডিয়ান আইডল' নিয়ে ঋষি বলেন, "এই শোতে অনেক ভাল মেন্টর আছেন, তাঁরা আমাদের জার্নি অনেক বেশি সহজ করে দিয়েছেন। মঞ্চ এমন একটা জায়গা, যেখানে কোনও ভুলই ক্ষমা করা হয় না। আমরা সতর্ক থাকতাম যে, যতই সমস্যায় পড়ি না কেন, মঞ্চে আমাদের ভাল পারফর্ম করতে হবে। মনে আছে, একটা গানের সময় আমার গলায় সমস্যা হয়েছিল। গান গাইতেও অনেক অসুবিধা হচ্ছিল। সে সময় হার মেনে নিলে হয়তো ট্রফি জিততে পারতেন না। আমি সাহস করে গানটা গেয়েছিলাম।"