চলতি বছরেই কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) জন্মশতবার্ষিকী। তাঁর পরিচালিত ছবি 'কাঞ্চনজঙ্ঘা', বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এক অন্যতম মাইলস্টোন। আর তাই তাঁকে সম্মান জানাতে পরিচালক রাজর্ষি দে (Raajhorshee De) নিয়ে আসছেন তাঁর পরবর্তী ছবি 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা' (Abbar Kanchanjangha)। প্রযোজনা করছেন শিল্পী এ পান্ডে (Shilpi A Pandey) এবং অক্ষত কে পান্ডে (Akshatt K Pandey)। পয়লা বৈশাখের শুভ তিথিতে প্রকাশ্যে এল ছবির অফিশিয়াল পোস্টার।
ছবির কথা চাউর হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গেছে টলি পাড়ায়। আর হবে নাই বা কেন? একটা ছবিতেই যেন রয়েছে গোটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি! একঝাঁক শিল্পী নিয়েই 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা'-র গল্প গেঁথেছেন রাজর্ষি। অভিনয় করেছেন কৌশিক সেন, শাশ্বত চ্যাটার্জী, দেবশ্রী গাঙ্গুলী, অর্পিতা চ্যাটার্জী, তনুশ্রী চক্রবর্তী, গৌরব চক্রবর্তী, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, রূপঙ্কর বাগচী, রিচা শর্মা, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, প্রিয়াঙ্কা রতি পাল, দেবলীনা কুমার, সোহিনী গুহ রায়, অনিন্দ্য চ্যাটার্জী সহ আরও অনেকে।
গত বছর অক্টোবরের শেষে শ্যুটিং শুরু হয় এই ছবির। দার্জিলিং, সামসিং, মূর্তি ছাড়াও উত্তরবঙ্গের আরও বেশ কিছু জায়াগা এবং কলকাতাকে শ্যুটিং লোকেশন হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন ছবির টিম। 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা' ছবিতে ক্যামেরার সামনে যেমন রয়েছেন এতজন গুণী শিল্পী, সেইরকম ক্যামেরার পিছনেও রয়েছে একটি স্ট্রং ইউনিট। ছবি পরিচালনার দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি গল্পটিও লিখেছেন রাজর্ষি নিজেই। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত।সিনেমাটোগ্রাফিতে রয়েছেন গোপী ভগত ও সঙ্গীত পরিচালনা আশু চক্রবর্তীর। বহু প্রতীক্ষিত এই ছবির গানের কথা লিখেছেন দূর্বা সেন এবং রাজর্ষি দে।
তবে 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা'-র নাম শুনে এই ছবিকে সত্যজিৎ রায়ের 'কাঞ্চনজঙ্ঘা'-র রিমেক ভাবলে কিন্তু ভুল হবে। এই ছবি সম্পূর্ণ মৌলিক গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে। শ্যুটিং চলাকালীন কলাকুশলীরা কতটা মজা করে কাটিয়েছেন তা বিভিন্ন সময়ে ধরা পড়েছে তাঁদের সোশ্যাল পেজে উঁকি মারলেই।
সব ঠিক থাকলে এই বছর সত্যজিৎ রায়ের জন্ম মাস মে-র শেষেই মুক্তি পাবে 'আবার কাঞ্চনজঙ্ঘা'। কিন্তু এদিকে যে মানব জীবনের এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় ভিলেন করোনা ফের শুরু করেছে তার চোখ রাঙানি। একদিকে কোভিড পরিস্থিতি, অন্যদিকে বাঙালির আবেগ সত্যজিৎ রায়। সব মিলিয়ে কতটা আশাবাদী রাজর্ষি দে? পরিচালকের কথায়, "আমরা পুরোপুরি আশাবাদী। কারণ এটি একটি পারিবারিক ছবি। বেড়াতে যাওয়ার ছবি, বলা যায় রিইউনিয়নের ছবি। আমাদের জীবনে যে মিরাকেলগুলো হারিয়ে গেছে সেই ম্যাজিক এবং মিরাকেলের ছবি।"
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে 'লক্ষ্মী ছেলে'!
রাজর্ষি আরও যোগ করলেন, "একবার সিনেমা হলে গিয়ে সেই মিরাক্কেলটা অভিজ্ঞতা করলেই দর্শকেরা অন্যান্যদের গিয়ে দেখতে বলবেন। এভাবেই তো ম্যাজিক ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীতে। এটাই নিয়তি, এটাই ভবিতব্য। তবে হ্যাঁ করোনা পরিস্থিতি একটু সামলে গেলেই ছবি রিলিজ করার প্ল্যান। নিঃসন্দেহে ছবিটি বড় ছবি, যে মাপের অভিনেতারা আছেন বা কলাকুশলীরা কাজ করেছেন।"