রাতে শ্যুট করছিলেন অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। বাড়ির ফেরার আগে তাঁর গাড়িতে হঠাৎ ইটবৃষ্টি হয়। গাড়ির কাঁচ ভেঙে গুঁড়ো হয়ে যায়। যদিও সে সময় গাড়ির বাইরে থাকার কারণে কিছু হয়নি অভিনেত্রী। বছর পাঁচেক আগে শখ করে কিনেছিলেন লাল রঙা এই গাড়িটি। শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় গাড়ির ছবি পোস্ট করে দুর্ঘটনার কথা জানান তিনি। ঠিক কী ঘটেছিল? খোঁজ নিল আজতক বাংলা।
বৃহস্পতিবার পরবর্তী ছবি 'কথামৃত'-র প্রচার সেরে, রাতে টালিগঞ্জের এক স্টুডিওতে 'লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার'-র শ্যুটিং করছিলেন অপরাজিতা আঢ্য। শ্যুটিংয়ের পর বাড়ির ফেরার আগে ঘটে বিপত্তি। অপরাজিতা জানালেন, "পরশু দিন রাতে আমাদের শ্যুটিং হচ্ছিল। পৌনে বারোটা নাগাদ যখন প্যাক আপ হয়েছে, তখন আমি মেকআপ রুম থেকে বেরনোর সময় আমার বাড়ি থেকে একটা ফোন আসে। আমার জিনিসপত্র তখন গাড়িতে তোলা হচ্ছে। একটা হৈহৈ শুনতে পাচ্ছিলাম, কিন্তু যেহেতু বাড়ির সঙ্গে কথা বলছিলাম অতটা খেয়াল করিনি। এরপর বেরিয়ে দেখি, যে সময় আমার গাড়িতে উঠে যাওয়ার কথা, তখন প্রচণ্ড ইটবৃষ্টি হয়েছে। কেউ বা কারা প্রচুর ইট ছুঁড়েছে। স্টুডিওর দিকে ও রাস্তাতেও প্রচুর ইট পড়েছে। আমার গাড়িকে লক্ষ্য করে একটা বিশাল ইট ছুঁড়েছে। যার ফলে আমার গাড়ির এই অবস্থা। আমি যদি গাড়িতে বসে থাকতাম, আমার মুখ একেবারে থেঁতলে যেত।"
নির্দিষ্ট কোনও ব্যাক্তির উপর সন্দেহ রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বললেন, "স্টুডিও তো আমার নয়। আমার কারও সঙ্গে শত্রুতাও নেই। এমনকী আমি ওই এলাকার লোকও না। আমি কী করে বলব?" কিছুটা অভিমানের সুরে অপরাজিতা যোগ করলেন, "পুলিশের বক্তব্য একজন মানসিক ভারসাম্যহীন লোক এই কাজ করেছে। পাগলকে কাস্টডিতে নেওয়া যায় না! আমার বক্তব্য হল, যদি একটা পাগলের এত ক্ষমতা যে, এত ইট ছুঁড়তে পারল? যে পাগল, সে এত ইট জোগাড় করল, এত বড় বড় ইট... এরপর কোথাও উঠে সেটা ছুঁড়ল...। তার মানে তো সে 'হিম্যান', তার বিরাট ক্ষমতা। তাকে তো দেশের সম্পদ হিসাবে পুরস্কার দেওয়া উচিত। এমন একটা পরিস্থিতি বা ঘটনা, এক্ষেত্রে কিছু বলার নেই। এটা দুর্ঘটনা, কপাল খারাপ থাকলেই এধরনের ঘটনা ঘটে।"
প্রসঙ্গত, এক সঙ্গে ছোট ও বড় পর্দা, দু'মাধ্যমেই চুটিয়ে কাজ করছেন অপরাজিতা আঢ্য। আগামী ১৮ নভেম্বর মুক্তি পাবে জিৎ চক্রবর্তী পরিচালিত 'কথামৃত'। এই ছবিতে প্রথমবার জুটি বাঁধবেন অভিনেতা- পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ও অপরাজিতা। এক ভিন্ন ধারার ভালোবাসার গল্প বলবে এই ছবি।