করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Corona Second Wave) বিপর্যস্ত দেশ। হাসপাতালে বেড নেই, অক্সিজেনের-ওষুধের অভাবের বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতি দিন মৃত্যু মিছিল দেশে। তার মধ্যেই নিজেদের সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন অনেকে। কেউ চুপিসাড়ে করছেন, কেউ ঘোষণা করেই মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। যেমনটা করেছেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। আগেই তিনি ১০০ জন প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করেছিলেন। একই ভাবে ভিডিও বার্তায় আরও মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন।
বার্তায় ঋতাভরী বলেন, 'ভ্যাকসিনেশনের জন্য মানুষজনকে সাবধানে নিয়ে যাওয়া যতটা না কঠিন, তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন হয়েছে এটা বোঝানো যে ভ্যাকসিন নেওয়া কতটা জরুরি। আমি আর আমার বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত গিয়ে বহু মানুষকে বুঝিয়েছি যাতে তাঁরা ভ্যাকসিন নেন। আপাতত ভ্যাকসিনের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে আমরা সকলেই জানি। সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে জানি, কিন্তু সেখানেও পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। সকলের কাছে অনুরোধ যাঁরা যাঁরা পারবে ভ্যাকসিন নিয়ে নাও। যদি তোমাদের চেনা কাউকে ভ্যাকসিনেশনে সাহায্য করতে পারো করো। সকলেই বুঝতে পারছ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকো এবং মাস্ক পরা একদম ভুলবে না।'
ভবিষ্যতেও যে তিনি এমন আরও অনেক উদ্যোগ নেবেন তা-ও ভিডিওতে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
সমাজের অঙ্গ হিসাবে খানিকটা ভালো সমাজকে ফিরিয়ে দেওয়া। এই ভাবনা থেকেই করোনা কালে দত্তাবাদ এলাকার ১০০ জন দুঃস্থ প্রবীণ নাগরিকের করোনা টিকার ব্যস্থা করেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। এ কাজে তাঁকে সমান সাহায্য করেছেন তাঁর 'বেস্ট ফ্রেন্ড' রাহুল দাশগুপ্ত। কয়েক সপ্তাহ আগে অস্ত্রোপচার করিয়ে নতুন জীবনে ফিরিছেন ঋতাভরী। নিজেই সোশাল মিডিয়ায় সে খবর জানিয়ে দীর্ঘ পোস্ট করেছিলেন। সুস্থ হয়েই আরও বহু মানুষকে নিরাপদ জীবনের পথে নিয়ে গেলেন তিনি। তাঁর নিজস্ব সংস্থা রয়েছে যেখানে মূক ও বধির শিশুদের জন্য নানা সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয়।
নিজের সোশাল পেজে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও পোস্ট করেন ঋতাভরী। যেখানে তাঁকে মাস্ক পরে গোটা বিষয়টির তত্ত্ববধান করতে দেখা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাহুলও। দত্তবাদ অঞ্চলের প্রান্তিক প্রবীণদের নিয়ে অভিনেত্রীর এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসা কুড়োচ্ছে নেট মাধ্যমে। একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিখরচায় টিকা নিতে পেরে খুশি এলাকাবাসীরাও।