আগামীকাল দোল উৎসবে মেতে উঠবেন গোটা বাঙালি জাতি। বসন্ত উৎসবের রঙ লাগবে মনে-প্রাণে। সবাইকে এক রঙে রাঙিয়ে দেওয়ার এই উৎসব যেন সম্প্রীতির চিহ্ন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে পালন করতেন বসন্ত উৎসব (Basanta Utsav)। গোটা বোলপুর রাঙিয়ে দেওয়া হত আবির দিয়ে, গাওয়া হত গান। সেই প্রথা আজও বর্তমান। রবি ঠাকুর লিখে গেছেন অসংখ্য বসন্তের গান বা বসন্ত উৎসবের গান। বাংলা, হিন্দি সহ ভারতের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষায় হোলির গান বা দোল উৎসবের গান লেখা হয়েছে। বাংলা এবং হিন্দি ছবিতেও সময় সময়ে হোলির গান বা দোলের গান (Bengali Holi Songs) ব্যবহৃত হয়েছে। সেই গানের মধ্যে কয়েকটা গান আজও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। আসুন তার মধ্যে কিছু গান দেখে নেওয়া যাক।
খেলব হোলি রং দেব না – একান্ত আপন
বলতে বাধা নেই বাংলা হোলির গান বলতে প্রথমেই এই সুপারহিট গানটার কথা মনে পড়ে। অচেনা ছন্দে অপর্ণা সেন। আর তাঁর সঙ্গে ভিক্টর ব্যানার্জির দারুণ কেমিস্ট্রি। প্রেমিক প্রেমিকাদের প্রিয় গান এটি। আর হোলির মেজাজের সঙ্গে খুব সুন্দর খাপ খেয়ে যায় গানের কথাগুলোও।
ও শ্যাম যখন তখন – বসন্ত বিলাপ
আবারও অপর্ণা সেন। তবে তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়। কিন্তু তখন তাঁর বয়স অনেক কম। মজার কথা হল ছবিতে সৌমিত্রর নামও কিন্তু শ্যাম। দুর্দান্ত কমিক টাইমিংসয়ে যোগ্য সঙ্গত চিন্ময় রায়, অনুপ কুমার আর রবি ঘোষের।
আজ হোলি খেলব শ্যাম তোমার সনে – মঞ্জরী অপেরা
বাংলা গান নিয়ে কথা হচ্ছে আর সেখানে বাঙালির ম্যাটিনি আইডল উত্তম কুমার থাকবেন না, তা কী করে সম্ভব। তাই মঞ্জরী অপেরা ছবির এই হোলির গান বাদ দেওয়া গেল না। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের স্বর্গীয় কণ্ঠস্বর কে ভুলতে পারে।
সাত সুরো কী বাঁধ পায়েলিয়া – দাদার কীর্তি
দাদার কীর্তি ছবিটার সঙ্গে বাঙালির কী যেন একটা মায়া জড়িয়ে আছে। তাই ছবিটা কেউ আজও ভুলতে পারেনি। গানটা খুব সুন্দর (বসন্তের গান), কারণ এখানে হিন্দি ও বাংলা দুটোকেই মিলিয়ে দিয়েছেন গীতিকার ও গায়ক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
অলিতে গলিতে – বদলা
দলবল নিয়ে হোলি খেলছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। গানের সুরে খুব একটা তারতম্য নেই। এমনিতে আধুনিক বাংলা হোলির গান যেমন হয় তেমনটাই। হোলি এসে গেছে আর তাই আনন্দ বাঁধ ভেঙে গেছে এটাই বলা হচ্ছে গানের মাধ্যমে।