Advertisement

Durnibar- Oindrila: 'আমরা দুনিয়ার পরওয়া করি না', দুর্নিবারকে বিয়ের ১ মাস আগে মুখ খুললেন ঐন্দ্রিলা

Durnibar- Oindrila Marriage: প্রেমের খবর সামনে আসতেই, নেটমাধ্যম থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক আলোচনায় জুটি। তবে কে কী বলে, তাতে 'কেয়ার নট অ্যাটিটিউটই' রেখেছেন দুর্নিবার - ঐন্দ্রিলা।

দুর্নিবার সাহা ও ঐন্দ্রিলা সেন (ছবি: ফেসবুক)
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 07 Feb 2023,
  • अपडेटेड 11:59 AM IST

এবছর বসন্তে টলিপাড়ায় ফের বিয়ের সানাই বাজতে চেলেছে। আর মাস খানেক পড়েই গাঁটছড়া বাঁধবেন দুর্নিবার সাহা (Durnibar Saha) ও ঐন্দ্রিলা সেন অর্থাৎ মোহর (Oindrila Sen/ Mohor)। প্রেমের খবর সামনে আসতেই, নেটমাধ্যম থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপক আলোচনায় জুটি। তবে কে কী বলে, তাতে 'কেয়ার নট অ্যাটিটিউটই' রেখেছেন তাঁরা। আসলে 'মিয়া বিবি রাজি তো' বাকি দুনিয়ার পরোয়া করে আর কী লাভ। আর ঠিক এই বার্তাই দিলেন 'ব্রাইড- টু-বি'। 

গত বছরের মাঝামাঝি সময় টলিপাড়ার জুটির বিয়ে ভাঙার জল্পনা শোনা যায়। পরে জানা যায়, জল্পনাই সত্যি। বিবাহ বিচ্ছেদ হয় সঙ্গীতশিল্পী দুর্নিবার সাহা ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। সে সময় বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে শোনা যায়, তৃতীয় ব্যক্তির কথা। শোনা যায় দুর্নিবারের জীবনে নতুন প্রেমই নাকি, মীনাক্ষীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ফাটল ধরার কারণ। যদিও একথা সঠিক নয় বলে দাবি করেন নতুন জুটি। দু'বছর পরে ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন সঙ্গীতশিল্পী। 

 

সম্পর্কে সিলমোহর দিয়েছিলেন আগেই। কিছুদিন আগে বিয়ের দিনক্ষণ জানিয়েছেন লাভ বার্ডস। আগামী ৯ মার্চ সাত পাকে বাঁধা পড়বেন দুর্নিবার - ঐন্দ্রিলা। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বিয়ের কাউন্টডাউন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সাদা- কালো আদুরে ছবি শেয়ার করে ঐন্দ্রিলা লিখেছেন, "আর চার সপ্তাহ বাকি। আমি, আসলে আমরা দুনিয়ার পরওয়া করি না। আমার সমস্ত ত্রুটিগুলি সহ আমায় গ্রহণ করার জন্য তোমায় ধন্যবাদ। 'যদি পাওয়া যেত, কাউকে তোর মতো, তোকেই খবর দিতাম...।"

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিয়ে নিয়ে সবিস্তারে জানিয়েছেন জুটি। ইন্ডাস্ট্রির অতি পরিচিত নাম  মোহর। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জনসংযোগ আধিকারিক তিনি। তাঁর কাছে বিয়েটা 'রঙিন অনুষ্ঠান'। তাই ধুমধাম করেই বিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। কীভাবে প্রেম হল? কে কাকে প্রপোজ করল? মোহর সংবাদমাধ্যমকে জানান, "২০২১-র ডিসেম্বরে সামপ্লেস এলসে একটা শো শুনতে যাই। সেখানে ও গাইছিল। পরিচয় হয়, ফোন নম্বর আদানপ্রদান হয়নি। দু' মাস পরে একটা ট্রেলার লঞ্চে আবার দেখা, তখন আমি দুর্নিবারকে জিজ্ঞাসা করি পার্কস্ট্রিটের সেই পাবে যাবে কি না। ও আমার কাছে জানতে চায় 'লক্ষ্মীছাড়া'-র শোয়ে যাব কি না।" 

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রথা ভাঙার গল্প নিয়ে এই গ্রীষ্মেই আসছে ঋতাভরী- আবিরের 'ফাটাফাটি'

দুর্নিবারের কথায়, "আমরা ঠিক করি 'লক্ষ্মীছাড়া-র শোয়েই যাব। আমি পৌঁছে যাই। শোয়ে মোহরের পৌঁছাতে দেরি হলে, ওকে ফোন গান শোনাতে শুরু করি। সে ভাবেই ও এসে পৌঁছায়। তখন আমরা দু'জন, দু'জনের উপর একটা টান অনুভব করেছিলাম। সেই রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে দিই"। 

আরও পড়ুন: 'বিনোদিনী'-র কাস্টিংয়ে চমক! রুক্মিণীর ছবিতে টলি-বলির দাপুটে অভিনেতারা

আগের বিয়ে, সম্পর্ক ভেঙে, নতুন পথ চলা প্রসঙ্গে দুর্নিবার বলেন, "একাধিকবার বিভিন্ন সম্পর্কে জড়ানোর পর এবং কিছু কিছু সম্পর্ক যে ঠিক নয় বারংবার সেটা বোঝার পর, শেষ পর্যন্ত একটা জায়গায় এসে মনে হল এতদিনে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখছে কেউ... মোহর আমার জীবনের সেই মানুষটা। একটা সম্পর্কে এতটা ঠিক কোনওদিন মনে হয়নি নিজেকে।" 

আরও পড়ুন: বইমেলায় খোশ মেজাজে একসঙ্গে রণজয়- সোহিনী, সম্পর্ক জোড়া লাগল?

প্রসঙ্গত,  দুর্নিবার- মীনাক্ষীর কাছাকাছি আসাও কিছুটা রূপকথার মতই ছিল। রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে দেখেই দুর্নিবারের প্রেমে পড়েছিলেন মীনাক্ষী। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ ও একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তাঁরা। প্রায় দু'বছর প্রেম করার পর ২০১৭ সালে আইনি বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন এই জুটি। এরপরে দু'জনে এক সঙ্গেই থাকতেন তাঁরা। গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারি গাঁটছড়া বাঁধেন জুটি। নিউ টাউনের স্বপ্নভোর-এ বসেছিল দুর্নিবার-মীনাক্ষীর বিয়ের আসর। বিয়ে বাড়িতে কার্যত বসেছিল চাঁদের হাট। 
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement