ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে জালিয়াতের খপ্পড়ে পড়েছিলেন খোদ অভিনেত্রী- সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)।মঙ্গলবার এই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো হৈচৈ পরে গেছে চারিদিকে। গ্রেফতার করা হয়েছে ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত ভুয়ো আইপিএস দেবাঞ্জন দেবকে। এদিকে মিমি চক্রবর্তী ছাড়াও কসবার ভুয়ো টিকা কেন্দ্র (Kasba Fake Vaccine Centre) থেকে টিকাকরণ (Vaccination) হয়েছে বহু মানুষের। যাঁদের কেউই কোনও মেসেজ বা সার্টিফিকেট পাননি। সেই সঙ্গে জানা গেছে, আদতে সমস্ত মানুষকে দেওয়াই হয়নি করোনা ভ্যাকসিন (Corona Vaccine)। ইতিমধ্যে ওই টিকা কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যা দেখে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ কমানোর অনুরোধে সকলের জন্যে বার্তা দিলেন মিমি।
বৃহস্পতিবার নিজের সোশ্যাল পেজে একটি ভিডিয়ো বার্তা শেয়ার করেছেন মিমি চক্রবর্তী। যারা তাঁর জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সেই টিকা কেন্দ্র থেকে যারা ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়েছেন, সেই সমস্ত মানুষের জন্য নায়িকা বলেন, "কালকের ঘটনার পর থেকে আমার কাছে প্রচুর ফোন, মেসেজ এসেছে। সকলে জানতে চাইছেন আমি কেমন আছি। তাঁদের সকলের উদ্দেশ্যে আমি জানাতে চাই যে, আমি সুস্থ আছি। আপনারা যারা আমার সাথে ওই ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের সকলকে বলতে চাই, আমরা সকলের এই পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছি, আমাদের হাতে এখন কিছু নেই। যদি আমি সুস্থ থাকি, আমার বিশ্বাস আপনারও সুস্থ থাকবেন। শুধু প্যানিক করবেন না।"
মিমি আরও বলেন, "ওই ভ্যাকসিনের নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আমরা ৪-৫ দিনের মধ্যেই জেনে যাব, ওতে আসলে কী ছিল? তবে আমি যতটুকু কথা বলে জেনেছি ওতে ক্ষতিকারক কিছু ছিল না, তবে হ্যাঁ, ওতে ভ্যাকসিনও ছিল না।''
সেই সঙ্গে মিমি সকলকে সাবধান করেন, যারা দেবাঞ্জন দেবের অন্য কোনও টিকা কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন, কিংবা এরকম কোনও ঘটনার স্বীকার হয়েছেন, তাঁদের সকলকে কেএমসি-র দপ্তরে কিংবা স্থানীয় কাউন্সিলর বা বিধায়কের কাছে গিয়ে সমস্ত ঘটনা জানানোর জন্য। সেই সঙ্গে টিকাকরণের পরবর্তী ধাপগুলি আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সাংসদ- অভিনেত্রী।
এদিন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য ও বিধায়ক অতীন ঘোষ জানান, কসবা এলাকায় বহু মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কাছে কোন মেসেজ বা তথ্য কিছুই দেওয়া হয়নি। মিমি চক্রবর্তীর ভ্যাক্সিনেশন হওয়ার পর কলকাতা পৌরসভার সামনে এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য আসে। মোট ১১০ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ৭০ জনের রিপোর্ট কলকাতা কর্পোরেশনের কাছে এসে পৌঁছেছে। সেই রিপোর্টে বেশ এসেছেঅনুযায়ী কয়েক জনের গা ব্যথা, ত্বকের দাগ ছাড়া বিশেষ কোন অসুবিধা নেই।