Advertisement

Rachna Rituparna Rivalry: ঋতুপর্ণার সঙ্গে শত্রুতা আছে? বহু বছরের গুঞ্জনে এবার সজাসাপ্টা রচনা

Rachna Rituparna Rivalry: সিনে দুনিয়ায় দুই অভিনেত্রীর মধ্যে রেষারেষি হামেশাই দেখা যায়। এমনকী দেবশ্রী রায় ও শতাব্দী রায়ের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের কথা কারও অজানা নয়।  ঋতুপর্ণার উপর কোনও ক্ষোভ আছে রচনার?

 ঋতুপর্ণা -রচনা (ছবি: ফেসবুক) ঋতুপর্ণা -রচনা (ছবি: ফেসবুক)
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 23 Oct 2025,
  • अपडेटेड 2:18 PM IST

বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় তিন দশক ধরে দাপিয়ে কাজ করেছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee)। বড় পর্দার পাশাপাশি ছোট পর্দাতেও তিনি সমানভাবে জনপ্রিয়। তাঁর গেম শো-এর সৌজন্যে, তিনিও বাংলার 'দিদি'। দর্শকদের মনের খুব কাছের তিনি। সেই প্রমাণ মেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই। অভিনেত্রীকে অনেকেই নিজেদের আদর্শ বলে মনে করেন। বিনোদন দুনিয়ার পাশাপাশি হুগলী জেলা নিয়েও তাঁর দায়িত্ব অনেক। হুগলীর সাংসদ তিনি। 

দীর্ঘদিন বড় পর্দা থেকে বিরতি নিয়েছেন রচনা। শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'হঠাৎ একদিন'। ২০১৭ সালে তাঁকে শেষবার বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল। সিনে দুনিয়ায় দুই অভিনেত্রীর মধ্যে রেষারেষি হামেশাই দেখা যায়। এমনকী দেবশ্রী রায় ও শতাব্দী রায়ের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াইয়ের কথা কারও অজানা নয়। 

নয়ের দশকে রচনার সমসাময়িক অভিনেত্রীদের মধ্যে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তাঁর কেরিয়ারে দারুণ সফল। এখনও নিয়মিত বড় পর্দাতে দেখা যায় তাঁকে। ঋতুপর্ণার উপর কোনও ক্ষোভ আছে রচনার? কিংবা কখনও সমস্যা হয়েছে? সম্প্রতি এক পডকাস্টে এসে এপ্রসঙ্গে মনের কথা উজার করলেন রচনা। 

 হুগলীর সাংসদ বলেন, "বাংলা ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে আমি অনেকদিন আগে চলে গিয়েছিলাম দক্ষিণ ভারতে। আমি তো শুধু বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির শিল্পী নই। আমি যদি শুধু বাংলায় কাজ করতাম, তখন হয়তো অন্যরকম একটা পরিবেশ হতে পারত। হয়তো মনে হতো আমার শত্রু ঋতু (ঋতুপর্ণা)। কারণ তখন মূলত আমরা দু'জনে কাজ করি, আর কেউ ছিল না। আমরা সমসাময়িক। কিন্তু আমি যেহেতু চলে গিয়েছিলাম, ১৯৯৬-এ কলকাতা ছেড়ে। কারণ আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না এতগুলো জায়গায় এক সঙ্গে কাজ করা। আমি হায়দরাবাদ, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, উড়িষ্যায় কাজ করতাম।" 

রচনা আরও বলেন, "চারটি ভাষায় কাজ করতে গিয়ে আমি কলকাতাকে প্রাধান্য দিতে পারিনি। আমার ওখানে কাজ করতে ভাল লেগেছিল। সব দিক দিয়ে ওখানে কাজ করতে আমার খুব সুবিধা হয়েছে।  সেই সব দিক দিয়ে আমি দক্ষিণ ভারতে চলে যাই। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমি কলকাতা থেকে অনেকদিন বিরতি নিয়েছি কলকাতা শহর থেকে। ২০০১ সালে আমি এই শহরে ফিরে এলাম। তারপর আবার কিছু বাংলা ছবি করি। তখন আর দক্ষিণে যাইনি। ওই ৫-৬ বছর আমি ছিলাম না এখানে। আমি এজন্যে কখনও বলব না, আমার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল বা আমার ঈর্ষা হয়েছে কাউকে নিয়ে, কেন ও ছবিটা পেল, আমি পেলাম না এটা ভেবে।" 

Advertisement

বড় পর্দাকে মিস করেন? এর আগে বাংলা ডট আজতক ডট কম-কে রচনা বলেছিলেন, "না! আমি খুব খুশি আছি। বড় পর্দায় ফেরার কোনও ইচ্ছে নেই।" ওটিটি প্ল্যাটফর্ম প্রসঙ্গে সেসময় নায়িকা বলেছিলেন, "এখন ওটিটি-তে অনেকে কাজ করছে। কিন্তু আসলে আমার সে সময়টা নেই এখন। আমি কোনও জিনিসকেই না বলি না। কখনও হয়তো করতে পারি। তবে একটা সময় এত ছবি করেছি। সিনেমা করার সেই আগ্রহটাই আর নেই। প্রচুর কাজ করেছি, আরও করব...তবে আমি একটু শান্তিতে ও আরামে থাকতে চাই।"  

প্রসঙ্গত, নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনওই লুকোছাপা করেননি রচনা বন্দোপাধ্যায়। স্বামী প্রবাল বসুর সঙ্গে থাকেন না বহু বছর ঠিকই, কিন্তু বিচ্ছেদও হয়নি তাঁদের। ছেলে প্রনীলকে নিয়ে থাকেন অভিনেত্রী। ছেলেকে কো-পেরেন্টিং করছেন রচনা ও তাঁর স্বামী। তবে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে রচনা- প্রবালের দূরত্ব আরও অনেকটাই মিটেছে। কর্মব্যস্ততার থেকে মাঝে মধ্যেই বিরতি নিয়ে ঘুরতে যান নায়িকা। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement