ফের নক্ষত্রপতন বিনোদন জগতে। প্রয়াত গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee Passes Away)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭.৩০ নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী। এদিন অনিয়মিত হৃদস্পন্দন হওয়ার জেরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। সঙ্কটজনক শিল্পীকে স্থানান্তরিত করা হয় আইসিইউতে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সমগ্র শিল্পীমহলে।
সঙ্গীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা (Haimanti Sukla) এই খবর শোনার পর অত্যন্ত মর্মাহত। তিনি বললেন, "এই রকম মানুষেরা আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, এত খারাপ লাগছে যে কথাই বলতে ইচ্ছে করছে না। সর্বপরি আমাদের এখন সময়টাই খুব খারাপ যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই একটা নক্ষত্রপতন হল। সেটা না সেরে উঠতেই আবার সন্ধ্যা দি চলে গেলেন।"
তিনি গীতশ্রীর স্মৃতিচারণ করে যোগ করলেন, "সন্ধ্যা দি কেমন ছিলেন, কী কী করতেন তা মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। আমার সঙ্গে খুব সুন্দর একটা সম্পর্ক ছিল। খুবই স্নেহ করতেন আমায়, ভালোবাসতেন...নানা রকম গান -বাজনা নিয়ে আলোচনা হত। একেক দিন সন্ধ্যা দি ফোন করলে আধ ঘণ্টা, পয়তাল্লিশ মিনিট ধরে কথা হত। শুধু যে কোনও কথাবার্তা হত তা নয়। উনি গাইতেন, আমি শুনতাম। আবার জিজ্ঞেস করতেন, 'হ্যাঁ রে ঠিক হচ্ছে তো? বেসুরো হয়নি তো?' এরকম একজন মানুষ হয়েও এখনও এই প্রশ্ন মনে আসে, তাঁকে সাক্ষাৎ ঈশ্বর ছাড়া আর কী বলার আছে আমার?"
আরও পড়ুন: 'দিদির মতো ছিলেন, ব্য়ক্তিগত ক্ষতি,' সন্ধ্যার স্মৃতিচারণায় মমতা
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের পদ্মশ্রী পুরস্কার সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। ৯০ বছর বয়সে পদ্ম সম্মান পাওয়ার কথা শুনে কিছুটা মর্মাহত হন নবতীপর শিল্পী। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে ফোন করে বলা হয়, আপনি কি পদ্মশ্রী সম্মান নেবেন? এমন 'ব্যবহার' পছন্দ হয়নি তাঁর। তিনি জানান, ৯০ বছর বয়সে পদ্মশ্রী নিতে হবে? ফোন করলেই চলে যাব! শিল্পীদের মান-সম্মান নেই নাকি।