Advertisement

Exclusive : লকডাউন থেকে নিউ নর্মাল, আজতক বাংলায় খোলামেলা আড্ডায় সোমলতা

"আমাদের দিনক্ষণ দেখে সেভাবে গিফ্ট দেওয়া নেওয়া হয় না। সেটা যবে থেকে প্রেম করতাম তবে থেকেই..." , বিবাহিত জীবন থেকে বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতা, সব নিয়ে সৌমিতা চৌধুরীর সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় সঙ্গীত শিল্পী সোমলতা আচার্য চৌধুরী (Somlata Acharyya Chowdhury)।  

খোলামেলা আড্ডায় সোমলতা আচার্য চৌধুরী (ছবি সৌজন্য:ফেসবুক)
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা,
  • 28 Nov 2020,
  • अपडेटेड 6:22 PM IST
  • আজতক বাংলায় খোলামেলা আড্ডায় সোমলতা।
  • লকডাউন থেকে নিউ নর্মাল -জানালেন তাঁর বিভিন্ন অভিজ্ঞতা।
  • মানসিক অবসাদের জন্যে দিলেন টিপস।

"আমাদের দিনক্ষণ দেখে সেভাবে গিফ্ট দেওয়া নেওয়া হয় না। সেটা যবে থেকে প্রেম করতাম তবে থেকেই..." , বিবাহিত জীবন থেকে বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতা, সব নিয়ে সৌমিতা চৌধুরীর সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় সঙ্গীত শিল্পী সোমলতা আচার্য চৌধুরী (Somlata Acharyya Chowdhury)।  


প্রশ্ন : ফিজিক্যাল কনসার্টে গান করার জন্যে কতটা প্রস্তুত? 

সোমলতা: লাইভ ইভেন্ট ছাড়া অন্যান্য সব সেক্টরের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। শুধুমাত্র আমাদেরই এতদিন ধরে কাজ ছিল না। তবে আমরা যাঁরা অনুষ্ঠান করছি এবং যেই দর্শকেরা দেখতে আসবেন উভয়পক্ষকেই খুব সচেতন থাকতে হবে। 

প্রশ্ন : বিগত আট মাসে ভার্চুয়াল লাইভ কনসার্টের কী রকম সাড়া পেয়েছেন? 

সোমলতা: আমি হাতে গোনা কয়েকটা ডিজিটাল কনসার্ট করেছি এই কয়েক দিনে। তবে যে কটা করেছি, সেই কাজগুলি খুব ভাল হয়েছে এবং দর্শকদের কাছ থেকেও খুব ভাল সাড়া পেয়েছি। 

প্রশ্ন: লকডাউনের আগে 'ব্রহ্মা জানে গোপন কম্মটি'- ছবিতে আপনি গান গেয়েছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?

সোমলতা: আমার পরিচিতি হয়েছে প্লেব্যাক গেয়ে। গান বিষয়টি আমাকে খুব আনন্দ দেয়। আর এইরকম একটা ভাল প্রোজেক্টে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সব মিলিয়ে খুব ভাল অভিজ্ঞতা। আর উইডোজ প্রোডাকশনের এই গল্পটা এত সুন্দর ছিল যে, সেই গল্পের একটা অংশ হতে পেরে খুব ভাল লাগছে‌।

প্রশ্ন: 'তানসেনের তানপুরা' ওয়েব সিরিজেও তো আপনার গানটি যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে!

সোমলতা: বাংলা ভাষায় এইরকম পুরোটাই ভারতীয় ক্লাসিক্যাল গানের ওপর তৈরি গল্প খুব কম পাওয়া যায়। সেখানে মানুষ এতটা ভালোবাসা দিয়েছেন, গানগুলি এত জনপ্রিয় হয়েছে এবং সেই প্রোজেক্টের একটা ছোট পার্ট যে আমি, এটা ভেবেই ভাল লাগছে। 

Advertisement

প্রশ্ন: ঝুলিতে সামনে কী কী কাজ রয়েছে? 

সোমলতা: আমার ব্যান্ড 'সোমলতা অ্যান্ড দ্য এসেস' থেকে ইউটিউব চ্যানেলে অনেকগুলি গান লকডাউনে প্রকাশ করেছি। সামনে এরকম অনেকগুলি প্ল্যান আছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটা ছবির কাজ করেছি। সেগুলিও আশা করি খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবে। 

প্রশ্ন: প্লেব্যাকে আসার শুরুতেই রবি ঠাকুরের গান নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন। ভয় লাগেনি? 

সোমলতা: না একদমই ভয় লাগেনি। কারন আমি ওটা ছবির জন্যে কাজ করেছিলাম। যে কোনও ছবির জন্যে যখন গান গাই, তখন সেই গানটির সঙ্গে একটা গল্প জড়িয়ে থাকে। আর আমি যখন ছবির জন্যে প্লেব্যাক করছি, তখন কিন্তু আমি আমার নিজস্ব ভাবনা চিন্তা বা ভালোলাগার কথা ভাববো না। কিছু মিনিটের জন্যে আমি ওই ক্যারেক্টারটা হয়ে উঠি। সেক্ষেত্রে পরিচালকের যেটা মনে হয় সেটা আমাকে করতে হবে। আমার মনে হয় সেখানেই প্রফেশনালিজম এবং ওটাই আমার কর্তব্য। এছাড়া 'মায়াবন বিহারিণী' গানটিতে যেহেতু রুপম ইসলাম সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন এবং  মৈনাকের ছবির গান ছিল, তাই ওঁরা আমাকে যেভাবে গাইড করেছিলেন এবং ছবির সিন অনুযায়ী যেটা ডিমান্ড করছিল, আমি ঠিক সেইভাবেই করেছি। 

প্রশ্ন: মানসিক অবসাদে ভুগছেন অনেক শিল্পী‌। এই খারাপ সময়টাকে সামলানোর কী টিপস দেবেন? 

সোমলতা: শুধু আর্টিস্ট বলে না, আমাদের সমাজের যে কোনও স্তরের মানুষই যে কোনও সময়ে মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন। এর জন্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সঠিক সচেতনতা। যখনই মনে হবে কোনও সমস্যা হচ্ছে তখন অবশ্যই কোনও পেশাদার মনোবীদের সাহায্য দরকার। ডিপ্রেশনের সম্পূর্ণ নিরাময় হয়। যেই সমস্ত কাজ করতে ভাল লাগে, সেই সমস্ত কাজ করা এবং যেই সমস্ত মানুষের থেকে পজিটিভ ভাইবস পাওয়া যায় তাঁদের সঙ্গে বেশি করে যোগাযোগ রাখা। এই সমস্ত ছোট ছোট জিনিসগুলি নিজেকে একটু জোর করেই করতে হবে। 

প্রশ্ন: শিল্পীরা যেই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাঁর কোনোও সমাধান আপনি দেখতে পান? 

সোমলতা: বিদেশে শিল্পীদের সাহায্যের জন্যে অনেক অর্থনৈতিক ফান্ড রয়েছে। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে সেই ভাবে কিছু নেই। বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। বাদ্যযন্ত্র পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে অনেক শিল্পীকে। আমার মনে হয় আমাদের শিল্পীদের জন্যে সরকারের একটা কমিটি হওয়া দরকার। যাতে ভবিষ্যতে এরকম কোনও সঙ্কট আসলে, শিল্পীরাও সাহায্য পেতে পারেন। 

প্রশ্ন: 'লকডাউন থেকে নিউ নর্মাল'! - এই সময়কালে জীবন থেকে কী শিক্ষা পেয়েছেন? 

সোমলতা: আগে আমি ভাবতাম আমি 'হোম-সিক'। তবে লকডাউনের দু-তিন মাস যাওয়ার পর থেকে আমি বুঝতে পেরেছি কাজটা আমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া চারিদিকের পরিস্থিতির জন্যেই হয়তো আমরা অনেকটা অসহানুভূতিশীল হয়ে গেছি। আমাদের আরও মানবিক হওয়া দরকার। 

প্রশ্ন: সম্প্রতি আপনার বিবাহ বার্ষিকী গিয়েছে। দিনটি কিভাবে কাটালেন? 

সোমলতা: বাড়িতেই ছিলাম প্রায়। সন্ধ্যেবেলা খুব কাছের এক-দু'জন বন্ধু- বান্ধব এসেছিলেন, কেক কাটা, খাওয়া-দাওয়া এইসবই...

প্রশ্ন: বিশেষ কী গিফ্ট পেয়েছেন বা দিয়েছেন?

সোমলতা: আমাদের দিনক্ষণ দেখে সেভাবে গিফ্ট দেওয়া নেওয়া হয় না। সেটা যবে থেকে প্রেম করতাম তবে থেকেই। ভ্যালেন্টাইন্স ডে মানেই যে গিফ্ট দিতে হবে, সেটা আমাদের সম্পর্কে তখনও ছিল না,এখনও নেই। যদি কিছু গিফ্ট দিতে হবে বলে মনে হয়, যে কোনও দিনই আমরা সেটা দু'জন দু'জনকে দিয়ে থাকি।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement