১০ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার মুক্তি পাওয়ার কথা সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত, সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)- সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) নতুন ছবি 'এলএসডি- লাল স্যুটকেসটা দেখেছেন' (LSD Laal Suitcase Ta Dekhechen)। তবে শেষ মুহূর্তে মুক্তি জটে এই ছবি। বৃহস্পতিবার অবধি প্রযোজকদের হাতে আসেনি সেন্সর সার্টিফিকেট (Censor Certificate)। সোহম এন্টারটেইনমেন্ট ও টিমের তরফ থেকে জানানো হয়, সেন্সর সার্টিফিকেট না পাওয়ার জন্য নির্ধারিত দিন অর্থাৎ আগামী কাল মুক্তি পাচ্ছে না এই ছবি।
ক্ষোভ এবং ধিক্কার জানিয়ে এদিন বিকালে একটি সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয় এই বিষয়ে সমস্ত তথ্য সামনে আনতে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন সোহম , সায়নী ঘোষ, সায়ন্তন ঘোষাল সহ ছবির অন্যান্য কলাকুশলীরা। সোহম ও তাঁর প্রযোজনা সংস্থার তরফে জানানো হয়, "দীর্ঘদিন আগেই ছবিটি সেন্সর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হলে, কর্তৃপক্ষের তরফে প্রথমে আমাদের ছবি থেকে সাত - আটটি সংলাপ বদলের কথা বলা হয়, সঙ্গে জানানো হয় ছবির টাইটেল ট্র্যাকে এমন কিছু শব্দ রয়েছে যা, ব্যবহার করা যাবে না।"
তাঁরা যোগ করেন, "যদিও ইউটিউবে আমাদের টাইটেল ট্র্যাক সকলে দেখেছেন এবং আমরা হলপ করে বলতে পারি এই টাইটেল ট্র্যাকে এমন কোনও শব্দ নেই যা, সেন্সর করার প্রয়োজনীয়তা ছিল। তা সত্ত্বেও তাদের নির্দেশ অনুযায়ী আগেই সম্পূর্ণ পরিবর্তনগুলি করে আমরা ছবির সেন্সর সার্টিফিকেটের জন্য আবারও আবেদন জানাই। কিন্তু ছবির সেন্সর সার্টিফিকেট না দিয়ে এখন ছবিটির নির্মমভাবে কণ্ঠ রোধ করতে চাইছেন তারা।সিনেমার প্রতি এই নির্মমতা কেন? সেন্সরশিপের নামে, একটি প্রচেষ্টাকে এমন করে নস্যাৎ করে ফেলার পরিকল্পনা কোন উদ্দেশ্যে?"
আরও পড়ুন: TRP: এবারও বেহাল 'মিঠাই'! বেঙ্গল টপার 'অনুরাগের ছোঁয়া' না 'জগদ্ধাত্রী'?
সংবাদমাধ্যমকে সোহম জানান, "সেন্সর বোর্ডের কর্তৃপক্ষের অনেক রকমের বক্তব্য ছিল। ছবিতে 'রাধে রাধে' বলা যাবে না, কৃষ্ণের নাম নেওয়া যাবে না। 'ওভারডোজ' এবং 'হ্যালুসিনেশন' শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। তবুও তাঁদের কথা মতো আমরা সব পরিবর্তন করেছি। শুধু তাই নয়, বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা আছে, এখানে কোনও ভাবেই মাদকজাত দ্রব্যের প্রচার করা হয়নি।"
আরও পড়ুন: লাল পোশাকে শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ নববধূ কিয়ারার, মিষ্টি বিতরণ করলেন সিড
এক সংবাদমাধ্যমকে সোহম জানান কিছুক্ষণ আগে শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, "বৃস্পতিবার সকালে জানা গিয়েছিল অনলাইনে ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়েছে। সেই ছা়ড়পত্র মুক্তির আগের দিন এখন এল। এই ধরনের হেনস্থার কী মানে? আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না। আমি ‘কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক’-র অন্দর থেকে খবর পেয়েছি যে, বলা হয়েছে সোহম চক্রবর্তী যেহেতু তৃণমূল বিধায়ক, তাই এই ছবির মুক্তি যেন আটকে দেওয়া হয়। কারও রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে। সিনেমা থেকে রাজনীতিকে দূরে রাখাই আমাদের লক্ষ। তারপরেও যদি এমন ঘটনা ঘটে তা হলে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।"
আরও পড়ুন: অন্তরঙ্গ দৃশ্যে সুমন- প্রিয়া! 'তুমিই যে আমার মা'-তে শেষমেশ কাছাকাছি অনিরুদ্ধ- আরোহী
প্রসঙ্গত, সোহম- সায়নী ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করছেন কাঞ্চন মল্লিক, লাবনী সরকার, সুমিত সমাদ্দার, জুন মালিয়া, অভিজিৎ গুহ, সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা। ছবির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন সায়ন দাশগুপ্ত। সিনেমাটোগ্রাফি রম্যদীপ সাহার। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন স্যাভি।