Advertisement

Srijit Mukherjee Exclusive: সামনে বন্য গণ্ডার, পিছনে হাতি! ঝুঁকি নিয়ে মাত্র ১১ দিনেই শেষ করেছি ছবির শ্যুটিং: সৃজিত

Srijit Mukherjee Exclusive: আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'। মুম্বইয়ে ব্যস্ততার ফাঁকেই আজতক বাংলার সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায়, নানা অজানা কথা শেয়ার করলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।

'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন' ছবির শ্যুটিংয়ের ফাঁকে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়
সৌমিতা চৌধুরী
  • কলকাতা,
  • 01 Feb 2022,
  • अपडेटेड 5:36 PM IST
  • আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'।
  • সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল' -র গল্প অবলম্বনে তৈরি এই ছবি।
  • পাঁচ বছর পর ফের বড় পর্দায় কাকাবাবু ও সন্তুকে দেখতে পারবেন দর্শকেরা।

বলিউড এবং টলিউড, সামনে দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই ব্যাক-টু-ব্যাক ছবি রিলিজ রয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherjee)। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন' (Kakababur Protyaborton)। মুম্বইয়ে ডাবিংয়ের ফাঁকেই আজতক বাংলার সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে খোলামেলা আড্ডায়, নানা অজানা কথা শেয়ার করলেন জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক।

আজতক বাংলা: শেষ পর্যন্ত 'কাকাবাবু প্রত্যাবর্তন' মুক্তি পাচ্ছে। উৎসাহী না একটু টেনশনে আছেন?  

সৃজিত: হ্যাঁ শেষমেশ ছবিটা মুক্তি পাচ্ছে এবং এমন একটা সময় মুক্তি পাচ্ছে, যখন সিনেমা হলে ১০০ শতাংশ দর্শকেরা যেতে পারবেন না। বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়া নেই, তাই তাদের নিয়ে বাবা-মায়েরা ছবি দেখতে কতটা আসবেন, এই নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তবে যেহেতু, বড় বাজেটের একটা ছবি এবং সেই বাজেটের একটা বড় অংশ আসবে ডিজিটাল এবং স্যাটেলাইট রাইট থেকে, তাই প্রযোজকরা নিশ্চই আর অপেক্ষা করতে পারছেন না। যদিও আমি সম্পূর্ণ বুঝি সেই বিষয়টা।   
  

 

প্রশ্ন: ছবির সাফল্য নিয়ে কি এজন্যে চিন্তায় আছেন?  

সৃজিত: সাধারণত 'কাকাবাবু' ফ্র্যাঞ্চাইজি যতটা লাভের মুখ দেখে, এক্ষেত্রে ততটা বক্স অফিস কালেকশন হয়তো হবে না, জানি। তবে মোটের উপর লাভের মুখ দেখলেই আমি খুশি। আর সেটা তো হয়েই যাবে, রাইটস থেকে।     


প্রশ্ন: ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আসবে 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'?  

সৃজিত: হ্যাঁ চলে আসবে। 


প্রশ্ন: বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, মুক্তির কিছু দিনের মধ্যেই ওটিটি-তে আসলে, দর্শকদের সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখার সম্ভাবনা কমে যায় না? 

সৃজিত: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আসবে ঠিকই, কিন্তু এখনই আসছে তা না। আর তার আগে প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তি পাওয়া খুব জরুরি।  

Advertisement


প্রশ্ন: ২০১৩ সালে 'কাকাবাবু' ফ্রাঞ্চাইজির প্রথম ছবি মুক্তির পর ২০২২ সালে তৃতীয় ছবি। ৯ বছরে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের কতটা পরিবর্তন হয়েছে? 

সৃজিত: চলচ্চিত্র পরিচালকরাও মানুষ। তাঁদের জীবনেও নানা ঘটনা ঘটে। সব কিছুই পরিবর্তনশীল, গত কয়েক বছরে অনেক কিছু হয়েছে পৃথিবীতে। আর সে পরিবর্তনগুলো জীবনের পাশাপাশি, আমার ছবিতেও প্রতিফলিত হয়। তবে একটা জিনিস শাশ্বত, বেড়াতে যাওয়ার আনন্দটা অক্ষুণ্ণ রয়ে গেছে। আর 'কাকাবাবু' ফ্র্যাঞ্চাইজি মানেই সেটা।    


প্রশ্ন: আফ্রিকার জঙ্গলে শ্যুট করার অভিজ্ঞতা কেমন?   

সৃজিত: এত জীবন্ত জীবজন্তু নিয়ে ভিএফএক্স না ব্যবহার করে, বাংলায় এরকম ছবি আগে হয়েছে বলে আমার জানা নেই। দারুণ মজা করে শ্যুট করেছি। যদিও আমাদের হাতে খুব কম সময় ছিল। এটা মাত্র ১১ দিনে শ্যুট করা একটা ছবি। শ্যুটিং করার সময় একটা দৃশ্যে বুম্বা দা, আরিয়ানের সামনে গণ্ডার এবং পিছনে হাতি ছিল এবং সেই গণ্ডার একেবারে বন্য, কোনও পেশাদার প্রশিক্ষক সঙ্গে ছিল না। হাতির সঙ্গে যদিও একজন ছিলেন, কিন্তু সেই হাতির আবার খুব খারাপ মেজাজ ছিল। বুম্বা দা -এর খুব কাছে সে চলে আসে... খুব বিপজ্জনক ভাবে আমরা শ্যুটটা শেষ করেছি। আসলে মূল গল্পে, বইতে এই জায়গাটির খুব সুন্দর করে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। তাই এটা আমাদের করতেই হত। যেহেতু বাজেট, সরঞ্জাম, সময় সবটাই আমাদের হাতে খুব কম থাকে, তার মধ্যেই যতটা পেরেছি দর্শকদের সামনে রহস্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।  

 


প্রশ্ন: আপনার বেশিরভাগ ছবির গল্প আপনারই লেখা। কোনও কিংবদন্তি লেখকের সৃষ্টি থেকে ছবি বানালে কি বাড়তি চাপ থাকে?

সৃজিত: সেটা 'মিশর রহস্য'-এর সময় ছিল। কিন্তু তারপর 'ইয়েতি অভিযান', 'জুলফিকর', 'চৌরঙ্গি', 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' -এর মতো এতগুলো কাজ করে ফেলেছি। তাই এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।  


প্রশ্ন: আগের ছবিগুলির সাফল্যের পর, কাকাবাবু এবং সন্তুকে নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন' সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে? 

সৃজিত: সেটা সময়ই বলে দেবে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় তিনটি 'কাকাবাবু'-এর মধ্যে এটাই সেরা। 


প্রশ্ন: তার মানে নিজেকে এই ছবিটার জন্য সবচেয়ে বেশি নম্বর দিচ্ছেন?

সৃজিত: হ্যাঁ। তবে এক্ষেত্রে আমার একটা পক্ষপাত কাজ করে। আমি খুব বন্যপ্রাণী ভক্ত। আমার সবচেয়ে প্রিয় হল জঙ্গল। সে জায়গা থেকেও এই ছবিটা আমার কাছে খুব স্পেশাল। 

 


প্রশ্ন: সেজন্যেই কি এই অ্যাডভেঞ্চারের গল্পটা বেছে নেওয়া?  

সৃজিত: না, ঠিক তা নয়। এটা তো একটা ট্রিলজির অংশ। প্রথমটা ছিল মরুভূমি, দ্বিতীয়টা পাহাড় এবং তৃতীয়টা জঙ্গল। ট্রিলজির কথা মাথায় রেখেই বেছে নেওয়া। 


প্রশ্ন: বলিউড তারকারাও প্রশংসা করছেন ছবির ট্রেলার দেখে। প্রথমবার হিন্দিতে 'কাকাবাবু', জাতীয় স্তরে ছবির মুক্তি নিয়ে কতটা আশাবাদী? 

সৃজিত:  (হেসে) প্রশংসা পেতে কার না ভাল লাগে? তবে এতে একটা সুবিধা হয়, রিচটা অনেকটা বারে। কারণ তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার্স সংখ্যা অনেক বেশি। আর এই প্রথম হিন্দিতে ডাবিং হল 'কাকাবাবু'-এর। তবে আমার মনে হয় কাকাবাবু, ফেলুদা এগুলোর সঙ্গে বাঙালি আবেগ জড়িত। তবে আমার ধারণা, এর আলাদা করে কোনও হিন্দি তর্জমা হয় না।  

Advertisement

প্রশ্ন: দর্শকেরা এখনও সিনেমা হলে আসতে ভয় পাচ্ছেন। কোনও বিশেষ বার্তা দেবেন?

সৃজিত: দর্শকদের এটাই বলব, আগের দুটো 'কাকাবাবু'-কে আপনারা অনেক সমাদর দিয়েছেন। আশা করি এই ছবিটাকেও দেবেন। প্রায় দু'বছর সেভাবে বাইরে বেড়াতে যাননি। এটায় আফ্রিকা ঘুরতে যাওয়ার একটা সুবর্ণ সুযোগ।   

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement