আজ নিয়ে টানা পাঁচ দিন দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ পার করল। ৭ জানুয়ারি থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১,৬৮,০৬৩।
গতকাল প্রকাশিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্টে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ১,৭৯,৭২৩। অর্থাৎ, রবিবারের তুলনায় সোমবার ১১,৬৬০ জন কম কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এবং দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক!
বিশ্বজুড়েই বাড়ছে Omicron সংক্রমণ। টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। এমতাবস্থায় করোনার ভ্যাকসিন নতুন Omicron ভেরিয়েন্টে কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
WHO-এর মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ (Maria Van Kerkhove) ওমিক্রনের দ্রুত বিস্তারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানান, নতুন ভেরিয়েন্টটির (Omicron) শরীরের অনাক্রম্যতাকে (ইমিউন সিস্টেম) এড়ানোর বা ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতাও রয়েছে। ফলে, মানুষের একাধিকবার কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া, যাঁদের করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে, তাঁরাও ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট দ্বারা সংক্রমিত হতে পারেন।
সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে যে সমস্ত কোভিড ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেগুলি ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়। একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে, বর্তমানে প্রচলিত কোভিড ভ্যাকসিন ৮৮ শতাংশ ক্ষেত্রেই Omicron ভেরিয়েন্টকে রুখতে ব্যর্থ।
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (CDC) বলছে যে, বর্তমান কোভিড ভ্যাকসিনগুলি ওমিক্রনের গুরুতর প্রভাব হ্রাস করে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সক্ষম। তবে এর সংক্রমণ পুরোপুরি রুখতে পারে না। তবে মার্কিন সংস্থা Novavax জানিয়েছে যে, তারা এমন ভ্যাকসিন তৈরি করছে যেটি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
মার্কিন সংস্থা Johnson & Johnson, জার্মান সংস্থা BioEnTech-ও তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখছে বলে জানিয়েছে। সব মিলিয়ে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপযুক্ত চিকার জন্য অপেক্ষাই করতে হবে সাধারণ মানুষকে।