গত চার দিন ধরে দিল্লিতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। ইতিবাচকতার হারও কমছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিল্লিতে করোনার শীর্ষে উঠে এসেছে। অনেকেরই ধারণা হয়েছিল যে, এমন পরিস্থিতিতে আগামী দিনে কোভিডের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমবে।
১৩ জানুয়ারি দিল্লিতে রেকর্ড ২৮,৮৬৭টি করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকে ক্রমাগত কমছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিডের পজেটিভ কেসের হারও ৩০ শতাংশ থেকে প্রায় ২৩ শতাংশে নেমে এসেছে। সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে।
তবে এখনই করোনা নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, দেশে আবারও বেড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। সোমবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও মঙ্গলবার আবার বেড়েছে।
শেষ ২৪ ঘন্টায় ২.৮২ লক্ষেরও বেশি করোনার নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, যা সোমবারের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি। যে ৩০টি রাজ্যে সোমবার করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমেছিল, মঙ্গলবার সেখানে আবার কেস বেড়েছে।
শুধুমাত্র কর্ণাটকে শেষ ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৩০০-রও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার এখানে ৪১,৪৫৭টি কোভিড কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার ৮ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মহারাষ্ট্রে, গত দিনে ৩৯,২০৭টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে এবং সোমবার ৩১,১১১টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। মঙ্গলবার কলকাতায় ২,২০৫ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার, এখানে ১,৮৭৯টি কোভিড কেস রিপোর্ট করা হয়েছে এবং ৭ জন করোনায় মারা গেছেন। অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
সোমবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। সেদিন ২.৩৮ লক্ষ মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সোমবার, সমস্ত রাজ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছিল। তবে একদিন পরেই ফের অনেকটাই বেড়েছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
দেশের ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ৩০টিতে করোনা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। তাই এবার করোনা সংক্রমণ কমবে, তা এখনই ভেবে নেওয়ার সময় আসেনি বলেই সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।