গত ২৮ ডিসেম্বর জরুরি ভিত্তিতে করোনার চিকিৎসায় এই অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু অনুমোদন মেলার দু’সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ওষুধটিকে বাতিল করে দিল ICMR।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ মলনুপিরাভির (Molnupiravir) করোনার চিকিৎসায় আর ব্যবহার করা যাবে না।
মলনুপিরাভির (Molnupiravir), যে অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধটি ২৮ ডিসেম্বর আশঙ্কাজনক করোনা রোগীদের চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য কেন্দ্র সরকার দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল, ICMR সেটিকে করোনা চিকিৎসার ওষুধের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিল কেন?
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) ডিজি ডাঃ বলরাম ভার্গব জানান, এই ওষুধে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই হচ্ছে বেশি। তাই ICMR এই ওষুধটিকে করোনা চিকিৎসার নির্দেশিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
মলনুপিরাভির (Molnupiravir), এই অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধটিকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় জয় হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বিপজ্জনক দিক সম্প্রতি সামনে এসেছে।
এই ওষুধে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
AIIMS এর মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ নীরজ নিশ্চল বলেছেন যে, মলনুপিরাভির ব্যবহার পুরুষদের যৌনাঙ্গ, গর্ভবতী মহিলাদের ভ্রূণ, শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের হাড় মারাত্মকভাবে প্রভাবিত বা ক্ষতি করতে পারে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR) ডিজি ডাঃ বলরাম ভার্গব গত সপ্তাহে জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শে এবং যুক্তরাজ্যের করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের তালিকায় মলনুপিরাভির এখনও অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
তিনি জানান যে, এই ওষুধটি যদি কোনও পুরুষ বা মহিলাকে দেওয়া হয় তাহলে তাঁদের এর পর কমপক্ষে ৩ মাস যৌন সম্পর্ক এড়ানো উচিত। কারণ, এটি জন্মগ্রহণকারী শিশুর শরীরেও কোনও রকম ত্রুটি তৈরি করতে পারে।