বিগত কয়েকদিনে দেশে দৈনিক করোনাভাইরাস সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী! ফের স্কুল বন্ধ হওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। কারণ, দেশের ১২ বছরের কম বয়সিদের এখনও করোনা টিকার আওতায় আনা যায়নি। তাই অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।
দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই ১২ বছর থেকে ১৮ বছর বয়সিদের করোনা টিকাকরণের কাজ চলছে জোর কদমে। এবার ৫ বছরের শিশুরাও করোনার প্রকোপ থেকে সুরক্ষিত হতে চলেছে।
হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই-র (Biological E) তৈরি করোনার টিকা করবিভ্যাক্সকে (Corbevax) ৫ বছরের শিশুদের দেওয়ার ক্ষেত্রে সুপারিশ করেছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI)-এর বিশেষজ্ঞ কমিটি।
জানা গিয়েছে, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহারের এই সুপারিশ নিয়ে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আলোচনায় বসবে DCGI-এর বিশেষ কমিটি। তার পরই ৫ বছরের শিশুদের জন্য এই টিকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
DCGI-এর বিশেষজ্ঞ কমিটির এই সুপারিশ মেনে নিয়ে সবুজ সঙ্কেত মিললেই ৫ বছরের শিশুদেরও টিকার সুরক্ষাবলয়ে নিয়ে আসা যাবে। এই সুপারিশ অনুমোদন পেলে দেশের ৫ থেকে ১৪ বছরের শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা করবিভ্যাক্স ভ্যাকসিনের ‘রক্ষাকবচ’ পেয়ে যাবে।
ভারতে তৈরি প্রথম রিসেপ্টর বাইন্ডিং ডোমেন (RBD) প্রোটিন সাব–ইউনিট ভ্যাকসিন হল Corbevax। হেপাটাইটিস বি (Hepatitis B)-র ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বিগত কয়েক দশক ধরেই এই প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দেশের আড়াই কোটিরও বেশি ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিরা করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। টিকার দু’টি ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে ১২ লক্ষ ৪৭ হাজারেরও বেশি শিশুর।
এবার ৫ বছরের শিশুদের জন্য করবিভ্যাক্সকে (Corbevax) ছাড়পত্র দিলেই দেশের অধিকাংশ স্কুল পড়ুয়াদের টিকার সুরক্ষার আওতায় আনা সম্ভব হবে।