কিছুতেই কব্জায় আসছে না করোনা ভাইরাস। এবার তার নতুন এক ভেরিয়েন্টের হদিশ মিলল। কলম্বিয়ায় প্রথম শনাক্ত এই ধরনটির নাম 'মু' বা B.1.621 যা পরে দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপেও পাওয়া গেছে।
মহামারি বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO) সাপ্তাহিক বুলেটিনে বলা হয়েছে, আরও বেশি টিকা প্রতিরোধী হতে পারে এই মু ভেরিয়েন্ট। যেমনটি বিটা ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে। তবে, এই ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে ভালোভাবে জানার জন্য আরও বেশি গবেষণার প্রয়োজন।
WHO বলছে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে কলম্বিয়ায় প্রথমবারের মতো এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে মু ভেরিয়েন্ট শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের কিছু দেশে এই ভেরিয়েন্টের প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া গেছে।
যদিও মু ভেরিয়েন্টের বিশ্বে বিস্তার হ্রাস পেয়েছে এবং বর্তমানে ০.১ শতাংশের নীচে রয়েছে। তবে, কলম্বিয়াতে ধারাবাহিকভাবে ৩৯ শতাংশ ও ইকুয়েডরে ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দক্ষিণ আমেরিকায় মু ভেরিয়েন্টের মহামারি, বিশেষ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে এর বিস্তার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে
WHO মতে, চার ধরনের করোনাভাইরাসের ভেরিয়েন্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে আলফা ভেরিয়েন্টটি ইংল্যান্ডের কেন্টে প্রথম শনাক্ত হয়, এরপর ১৯৩টি দেশে সেটি শনাক্ত হয়। ১৪১টি দেশে শনাক্ত হয়েছে বিটা ভেরিয়েন্ট, ৯১টি দেশে গামা ভেরিয়েন্ট ও ১৭০টি দেশে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মু হচ্ছে পঞ্চম ভেরিয়েন্ট।
বিশ্বজুড়েই করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ভাইরাসের নতুন ধরনের উদ্ভব নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এদিকে করোনাভাইরাসের আরও একটি নতুন রূপ-এর হদিশ মিলল দক্ষিণ আফ্রিকায়। শুঁড়ের মতো দেখতে নিজের স্পাইক প্রোটিনগুলিকে অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে বার বার বদলে ফেলতে পারে করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপটি। ডেল্টা-সহ অন্য রূপগুলির এই নিজেকে বদলে ফেলার হারের অন্তত দ্বিগুণ গতি দেখা গিয়েছে এই নতুন রূপে।
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেব্ল ডিজিজেস (এনআইসিডি)’-এর তরফে সোমবার এ কথা জানানো হয়েছে। এও জানানো হয়েছে, মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এই রূপটির হদিশ মেলার পর গত ৩-৪ মাসে ভাইরাসের এই রূপটি থেকে সংক্রমণের হার ধীরে ধীরে বাড়তে দেখা গিয়েছে। নতুন রূপটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘C.1.2’। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১ অগাস্ট পর্যন্ত চিন, কঙ্গো, মরিশাস, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল এবং সুইৎজারল্যান্ডে C.1.2 পাওয়া গিয়েছে।