পশ্চিমবঙ্গে শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৪,২৮৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবারের আক্রান্ত মিলিয়ে এ পর্যন্ত বাংলায় মোট ১৭ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪৬ জন কনোয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আজ ৭১,৬৬৪ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে, যার মধ্যে ২৪,২৮৭ জনের রিপোর্ট পজেটিভ।
দিল্লিতে করোনার দৈনিক সংক্রমণে আরও বৃদ্ধি। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭৫১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। সংক্রমণ হার ২৩.৫৩ শতাংশ। টানা দু'দিন ২০ হাজারের উপরে থাকল দিল্লির দৈনিক সংক্রমণ।
হরিয়ানার রোহতকে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। জানা গিয়েছে এখানে আরও ১৮ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই চিকিৎসকরা পিজিআই এমএস রোহতকে কর্মরত। গত ৪ দিনে এখানে মোট ৫০ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
রবিবার উত্তরপ্রদেশে ৭,৬৯৫টি নতুন কোভিড কেস নথিভুক্ত হয়েছে। একইসঙ্গে এ দিন যোগীর রাজ্যে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিহারে ২৭ জনের শরীরে মিলল কোভিডের ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের অস্তিত্ব। রবিবার যে সরকারি পরিসংখ্যান সামনে এসেছে তা চমকপ্রদ! এতে বিহারের স্বাস্থ্য বিভাগের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে ৩২টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মধ্যে মোট ২৭টি ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে। আশ্চর্যজনকভাবে, একজন রোগীর শরীরে ওমিক্রন বা ডেল্টার উপস্থিতি মেলেনি। এদের মধ্যে একজনের শরীরে ভিন্ন মিউটেশনের সংক্রমণ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে, শনিবার সপ্তাহান্তে কারফিউ চলাকালীন কোভিড বিধি লঙ্ঘনের অপরাধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় ৩৮৪টি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। এছাড়াও, একই কারণে ১৪৮৪টি জরিমানার চালান কেটেছে দিল্লি পুলিশ।
ইতিমধ্যেই জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার অসংখ্য ব্যাঙ্ক কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে এসবিআই স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের (বেঙ্গল সার্কেল) প্রাক্তন ডেপুটি চিফ সেক্রেটারি অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “শুধুমাত্র স্টেট ব্যাঙ্কেরই তিনশোরও বেশি কর্মী এখন করোনায় আক্রান্ত। রাজ্যের অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক ধরা হলে বাংলার প্রায় হাজারখানেক ব্যাঙ্ক কর্মী এখন কোভিডে আক্রান্ত!”
হিসাব বলছে, কলকাতায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ব্যাঙ্ক কর্মী কোভিডে আক্রান্ত। কর্মীদের অসুস্থতা, অনুপস্থিতি সামলে ব্যাঙ্কের পরিষেবা সচল রাখাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ!
শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৩২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা সুনামি রোধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার সন্ধ্যায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই বৈঠক।
পুলিশ-প্রশাসনের সতর্কবার্তা কে উপেক্ষা করে এখন মাক্স ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছেন হুগলি জেলার বহ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা। পুলিশ প্রশাসনে তরফে হুগলি জেলার প্রায় একশোরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পৌরসভা ওয়ার্ডগুলিকে কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করার পাশাপাশি মাইকিং এবং সরাসরি অভিযান চালানোর পরেও অনেকেরই হুশ ফেরেনি।
আজ দিল্লিতে সপ্তাহান্তে কারফিউয়ের দ্বিতীয় দিন। আজ শিখদের উৎসব, প্রকাশ পর্ব। শিখদের ১০ম গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মবার্ষিকীতে, ভক্তরা গুরুদ্বারে যেতে পারবেন। যদিও এই সময়ে তাদের করোনার সমস্ত নির্দেশিকা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে জারি করা সাপ্তাহিক কারফিউ চলবে সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত।
রাজ্যের সাথে করোনায় জুবুথুবু মালদা জেলা। হুঁশ নেই জন সাধরনের। রবিবারের বাজারে মাস্কহীন ক্রেতা বিক্রোতা। আবার কেউ চা খাওয়ার অজুহাতে মাস্ক না পরই করছে দোকানদারি। এমনি চিত্র দেখা গেল মালদার নেতাজী পৌরবাজারে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সচেতনতা করা হলেও হুঁশ ফিরছে না ক্রেতা বিক্রেতাদের। বাধ্য হয়ে পুলিশ প্রশাসন কড়ি পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩০জনের পরে। শহরের প্রাণ কেন্দ্র গুলিতে চলছে পুলিশি মাইকিং।
ভারতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩,৬২৩ হয়েছে। দেশের ২৭টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখনও পর্যন্ত মোট ৩,৬২৩টি ওমিক্রন কেস নথিভুক্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩,৬২৩ জন Omicron আক্রান্তের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১,৪০৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের (Omicron Variant) কারণে ভারতে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৫৯,৬৩২ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩২৭ জন রোগীর। দেশে এ পর্যন্ত ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭৯০ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস।