প্রথমে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। সেখান থেকে আলাপ ও নম্বর আদানপ্রদান। এরপরেই হোয়াটসঅ্যাপে কথা শুরু। সেখানেই শুরু হয় অশালীন মেসেজ ও ভিজিও পাঠানো। (সব ছবি প্রতীকী)
সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল রাজস্থানের ভরতপুর থেকে অসাধু চক্রের এক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম হাকামুদ্দিন।
কয়েকদিন আগেই দিল্লি পুলিশের কাছে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করে। তিনি প্রথমে একটি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পান।
সেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলা শুরু হয়। কিন্তু ওই অচেনা মহিলা নগ্ন ভিডিও কল থেকে অশালীন মেসেজ পাঠাত বলে দাবি তাঁর।
ওই ব্যক্তির অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পরেই অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসত তাঁর কাছে। মোটা টাকা না দিলে তাঁর ভিডিও ভাইরাল করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হতো।
তিনি ভয়ে প্রথমে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন।
তদন্তে জানা গেছে যে অভিযোগকারীকে ফোন করার জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর আসাম থেকে জারি করা হয়েছিল এবং রাজস্থানের ভরতপুরে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
ভরতপুরে এর আগেও এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। সেখানেই হাকামুদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
পাশাপাশি আরও ৩ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে তারা এখনও পলাতক।
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগেও এমন অসাধু চক্রের কারবার প্রকাশ্যে এসেছিল।